রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতির ফানুস ফোঁটো হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন।বিশালগড় মহকুমার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করে এমনই চিত্র সামনে উঠে এসেছে।মধুপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়,পশ্চিম গকুলনগর উচ্চ বিদ্যালয় এবং পূর্ব গকুলনগর স্কুলে গিয়ে শিক্ষক স্বল্পতার বেহাল চিএ সামনে উঠে এসেছে।মধুপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা হচ্ছে ২১৬ জন অথচ শিক্ষক রয়েছে মাত্র পাঁচজন, তার মধ্যেও বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক শিক্ষকতার পাশাপাশি বি.এল.ওর দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে এবং আরও দুজন শিক্ষক অন্য স্কুল থেকে ডেপুটেশনে আনা।যে জায়গায় শিক্ষকের দরকার কম করেও ১০ থেকে ১২ জন।অন্যদিকে পশ্চিম গকুলনগর উচ্চ বিদ্যালয় গিয়ে দেখা গেছে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৭৫ জন হলেও শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে মাত্র পাঁচ জন।ফলে দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে চাকরি শেষে অবসর নেওয়া ভূগোলের শিক্ষক
রবিশঙ্কর দেব এবং এসএসটি ও বাংলার শিক্ষিকা শাশ্বতী ভট্টাচার্যীকে দেখা গেছে নিয়মিত বিদ্যালয়ে এসে স্বেচ্ছায় শ্রম দিতে।এক প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান শিক্ষক স্বল্পতা শুধু পশ্চিম গকুলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে নয় এটা বর্তমানে সারা রাজ্যেরই সমস্যা।তাই ছাএ-ছাত্রীদের ভবিষ্যতে শিক্ষক স্বল্পতার জন্য যেন কোন ক্ষতি না হয় সেই দিকটি মাথায় রেখেই শিক্ষকতার জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পরও নৈতিক কর্তব্যবোধ থেকেই তারা নিয়মিত বিদ্যালয়ে এসে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পাঠদান করে যাচ্ছে।যতদিন পর্যন্ত বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষক না আসছে ততদিন পর্যন্ত তারা এভাবেই শিক্ষকতা চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।ফলে একদিকে রাজ্যের বেকাররা ট্যাট উত্তীর্ণ হয়ে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অফিসের সামনে ধরনা দিচ্ছে আর অন্যদিকে অবসরে যাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাঠদান করতে হচ্ছে।তাই রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী সারা রাজ্যের এই শিক্ষক স্বল্পতার সমস্যা সমাধানে কতটা ইতিবাচক তা আর বুঝার বাকি নেই কারোরই।