রাজ্যে এডুকেশন হাব তৈরির পথ অনেকটাই এগিয়ে গেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।রবিবার সূর্যমনি নগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের নব-নির্মিত নতুন দ্বিতল ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে এ কথা জানান তিনি।প্রাচীন ভারতের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ টেনে ভারতবর্ষও যে একটা সময় গোটা দুনিয়ার এডুকেশন হাব ছিল তা সকলের সামনে তুলে ধরেন।পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বর্তমান শিক্ষানীতির ফলে এখন আর উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও অভিভাবকদের প্রতি তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।বর্তমান শিক্ষানীতির সুফল তুলে ধরতে এ বছরের সূর্যমনি নগর দ্বাদশ শ্রেণীর বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যথাক্রমে ৯৮.৭% ও ৯৫% পাশের হারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।আগরতলা শহরের বাইরে সূর্যমনিনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের বোর্ড পরীক্ষায় পাশের এই পরিসংখ্যান শহরের যেকোনো বনেধী বিদ্যালয়গুলো থেকেও কোন অংশে কম নয় বলে জানান।অন্যদিকে রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় আরও কি কি পরিবর্তন আনা যায় এবং সেই লক্ষ্যে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে রাজ্য সরকার তারও তথ্য তুলে ধরেন তিনি।বিদ্যা জ্যোতি প্রকল্পে আরও নতুন স্কুলের অন্তর্ভুক্তি করন,করোনার সময় বন্দে ভারত শিক্ষা চ্যানেলটি আগামী দিনেও চালু রাখা,সুপার থার্টি প্রকল্পে জে.ই.ই এবং নিট পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের রাজ্য সরকারের তরফে আর্থিক ও লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া,এস.সি.ই.আর.টির পরিকাঠামো উন্নত করা,বিদ্যা সেতু প্রকল্পে প্রথম শ্রেণীর ছোট্ট শিশুদের তিন মাসের ট্রেনিং প্রদান,পিপিপি মডেলে সমগ্র শিক্ষা অভিযানে ৭৭৯ টি স্কুলে স্মার্ট ক্লাস চালু করা,পলিটেকনিক কলেজ গুলিতে ফ্রি ওয়াইফাই এর সুবিধা প্রদান,ভর্তির সমস্যা এড়াতে ওয়েব এপ্লিকেশন পোর্টাল চালু করা,চিফ মিনিস্টার স্কলারশিপ এবং নিপুন ত্রিপুরা সহ আটটি জনজাতি ভাষায় পাঠ্য বই তৈরি করা সবই রাজ্যে এডুকেশন হাবের একেকটা পার্ট বলে উল্লেখ করেন।অন্যদিকে ৩ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সূর্যমনি নগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের নবনির্মিত এই দ্বিতল ভবনটি মাত্র এক বছর সময়কালের মধ্যে তৈরি করে দেওয়া রাজ্যে একটা ইতিহাস বলেও উল্লেখ করেন।সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার জন্য রাজ্য পূর্ত দফতর এবং স্থানীয় বিধায়ক তথা ডেপুটি
স্পিকার রাম প্রসাদ পালকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী।যেহেতু বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নাটক,অঙ্কন,ড্রামা,এনসিসি, এনএসএস,নাচ ও গানের শিক্ষক দ্বারা বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে তাই নেশা থেকে দূরে থেকে কিভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা আগামীতে উজ্জল ভবিষ্যৎ গড়ার দিকে এগিয়ে যেতে পারে সেই দিকে লক্ষ রাখার আহ্বান জানান অভিভাবক তথা শিক্ষক- শিক্ষিকাদের প্রতি।এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা-উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল,সেকেন্ডারি এডুকেশনের ডিরেক্টর এন.সি শর্মা ও বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল লীনা দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।