মাফিয়া শব্দ ত্রিপুরা থেকে উঠে যেতে হবে। কোন মাফিয়া ত্রিপুরায় থাকতে পারবে না। যারা কাটমানি, সিন্ডিকেট সহ বিভিন্ন অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। একেবারে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে পুলিশ এধরণের বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে। এক্ষেত্রে পুলিশের কাজে কোন ধরণের হস্তক্ষেপ করা হবে না।
মঙ্গলবার আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে আইন শৃঙ্খলা বিষয় নিয়ে পুলিশ অফিসারদের নিয়ে আয়োজিত পর্যালোচনা বৈঠকে এই কঠোর বার্তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এদিন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের উপস্থিতিতে রাজ্যের ৮টি জেলার পুলিশ সুপার, এসডিপিও এবং ওসিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পৌরহিত্য করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই বৈঠকে ড্রাগস কারবার, ত্রিপুরা হয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, ট্রাফিক ব্যবস্থা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা ও মত বিনিময় করা হয়।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রজ্ঞাভবনে শুরু হয় আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক। প্রায় ২ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে চলে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। পরে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে সাথে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে মত বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী প্র ডাঃ মানিক সাহা। তিনি জানান, এবছর ত্রিপুরা পুলিশের ১৫০ তম বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। এটা খুবই গর্বের বিষয়। ত্রিপুরা পুলিশেরও একটা উজ্জ্বল অতীত রয়েছে।
এদিন ত্রিপুরা পুলিশের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে লোগো প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর পাশাপাশি বৈঠকের শুরুতে প্রজ্ঞাভবন চত্বরে ত্রিপুরা পুলিশের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন, অতিরিক্ত পুলিশ মহানির্দেশক (আইন শৃঙ্খলা) সৌরভ ত্রিপাঠী, আইজি জি কে রাও, ডিআইজি মনচাক ইপ্পার সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ।