ভারত সরকারের নেহেরু যুব কেন্দ্র(পশ্চিম ত্রিপুরা) উদ্যোগে শুক্রবার বিশালগড় টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে সিপাহীজলা জেলাভিওিক যুব উৎসব।এদিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে যুব উৎসবের শুভ সূচনা করেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী টিংকু রায়।তাছাড়া যুব উৎসবের গুরুত্ব আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন স্কুল কলেজ থেকে আগত ছাত্র-ছাত্রীদের স্বামী- বিবেকানন্দকে আদর্শ মেনে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।পাশাপাশি উদাহরণ হিসাবে বিহারের ছেলে কৌশলেন্দু কুমার আইআইএম আমেদাবাদ থেকে পাস করার পর বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির চাকরি ছেড়ে নিজের গ্রামের প্রায় চল্লিশ হাজার কৃষকের জীবন পাল্টে দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করার কাহিনী ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে তুলে দিয়ে জীবনে সমাজের জন্য কিছু করার দৃঢ় প্রত্যয় নেওয়ার পরামর্শ দেন।ত্রিপুরা রাবার উৎপাদনে দেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেও রাবারের গুণগত মান খুবই কম।যার দরুন আমাদের রাজ্যের রাবার চাষীরা খুব একটা মুনাফা কামাতে পারছে না।তার কারণ হচ্ছে কোয়ালিটি সম্পন্ন রাবার উৎপাদনে আমাদের রাজ্যের রাবার চাষীরা খুবই অপরিপক্ক।অর্থাৎ স্কিল লেবারের খুবই অভাব।ফলে আমাদের রাজ্যের যুবকদের উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি তার গুণগত মান আরও উন্নত করতে হবে।তবেই যুবসমাজ সমৃদ্ধ হবে।রাজ্যের গর্ব দীপা কর্মকার, সোমদেব দেবর্মন,আরশিয়ার মত খেলোয়ারদেরও আইকন হিসাবে মেনে নিয়ে যুবকদের আরও এগিয়ে যেতে হবে বলে জানান তিনি।এদিন বিশালগড়ে অনুষ্ঠিত সিপাহীজলা যুব উৎসবটি ছিল রাজ্যের আটটি জেলায় অনুষ্ঠিত যুব উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠান।এই জেলাভিত্তিক যুব উৎসব থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা অংশগ্রহণ করবে রাজ্যভিত্তিক যুব উৎসব প্রতিযোগিতায়।রাজ্যভিত্তিক প্রতিযোগিতায় যারা বিজয়ী হবে তারা জাতীয় স্তরের যুব উৎসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে বলে জানান নেহেরু যুব কেন্দ্র পশ্চিম ত্রিপুরার কোর্ডিনেটর কুনাল গৌতম।এদিনের এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী টিংকু রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলার সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত,বিধায়ক সুশান্ত দেব,অন্তরা দেব সরকার,জেলা শাসক,মহকুমা শাসক এবং ক্রীড়া দপ্তরের জয়েন্ট ডিরেক্টর পাইমং মগ।