রবিবার বিশালগড়ে ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় “জন অধিকার সংগ্রাম পরিষদ” আয়োজিত প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে রেল স্টেশন এলাকায় সকাল থেকেই জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে ছিল সাঁজা সাঁজ রব।সিপাহীজলা জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে জন অধিকার সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভার অনুমতি না দিলেও আয়োজকরা উক্ত কর্মসূচি পালনে ছিল অনড়।ফলে জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে বিশালগড় রেল স্টেশন এলাকায় ব্যাপক সংখ্যায় মোতায়েন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি টিএসআর ও ত্রিপুরা পুলিশের জওয়ান।উক্ত সভায় যে পরিমান লোক সমাগম হয়েছে তার চাইতে দিগুণ ছিল নিরাপত্তা কর্মী।ফলে কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটলেও উক্ত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল বক্তব্য রাখার জন্য তাতে পুরো কর্মসূচিটিই রাজনৈতিক কর্মকান্ডে পরিণত হয় যায়।প্রতিবাদ মঞ্চের সামনে প্রথম সারিতেই আসন গ্রহণ করেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ভানু লাল সাহা,বিশালগড় মহকুমা কমিটির বর্তমান সম্পাদক পার্থপ্রতিম মজুমদার,তিপ্রা মথার প্রদেশ মাইনরিটি সেলের চেয়ারম্যান শাহ আলম মজুমদার,বিশালগড় ব্লক কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট গুপীনাথ সাহা সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।ফলে শুরু থেকে আয়োজকদের তরফে রবিবারের কর্মসূচিকে একটি অরাজনৈতিক প্রতিবাদ কর্মসূচি বলে প্রচার করলেও কর্মসূচিতে যোগদানের পর এই ধারণার ভুল ভাঙ্গে।ফলে ওয়াকফ আইন কেন মুসলিমদের বিপক্ষে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য নেতৃত্বদের ডাকা হলেও প্রত্যেকেই শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করে