অবশেষে বুধবার বিকেলে বিশালগড় থানার ওসির ব্যক্তিগত গাড়ি ছিনতাই কাণ্ডের মূল মাস্টার মাইন্ড জুয়েল আহমেদকে জালে তুলতে সক্ষম হয়েছে বিশালগড় থানার পুলিশ।মঙ্গলবার ছিনতাইকৃত গাড়িটি বক্সনগর বিধানসভার নাড়ুবাড়ি এলাকা থেকে পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও জুয়েল আহমেদ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।বহুু জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও তাকে জালে তোলা সম্ভব হচ্ছিল না।গতকালই জুয়েলের পরিবারের সদস্যদের তুলে আনা হয়েছিল থানায়।ফলে চারিদিক থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই প্রতিকূলে চলে যায় জুয়েলের।বুধবার গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে মধুপুর থানাধীন কৈইয়াঢেপা এলাকায় জুয়েলের অবস্থান জানতে সক্ষম হয় পুলিশ এবং সঙ্গে সঙ্গেই ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে জালে তুলতে সক্ষম হয়।জুয়েল আহমেদের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর বিশালগড় মহিলা থানার ওসির গাড়ি ছিনতাই কান্ডের মামলায় এক প্রকার ইতি টানা সম্ভব হল বলে বিশ্বস্ত মহলের অভিমত।অন্যদিকে বুধবার বিকেলে মতিনগরের হারেজ মিয়া ও সাগর মিয়াকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে সাড়ে এগার লক্ষ টাকা ছিনতাই কান্ডে এখনো পর্যন্ত পুলিশ পুরোপুরি অন্ধকারে।জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে খুব শীঘ্রই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করার পাশাপাশি অভিযুক্তদের জালে তোলার আশ্বাস দেওয়া হলেও ঘটনার দুদিন অতিক্রান্ত অথচ নগদ অর্থসহ আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ এখনো পুরোপুরি অক্ষম।ঘটনার কিনারা করতে কমলা সাগর,গোলাঘাটি ও বিশালগড় বিধানসভার বেশ কিছু লোকজনদের থানায় এনে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে কিন্তু নিট ফল শূন্য।ফলে এই মামলার ইতি টানতে বিশালগড় থানার পুলিশের আরও কতটা সময় নেয় সেদিকেই তাকে সকলে।