নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যে প্রকল্পগুলি হাতে নেওয়া হয়েছে তা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবার মান উন্নত করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।বুধবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডা.মানিক সাহা একথা বলেন। পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানের জন্য উন্নত ট্রান্সফরমার বসানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ গ্রাহকদেরও বিদ্যুৎ অপচয়ের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। বাড়িতে অধিক বিদ্যুৎ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই দপ্তরকে অবগত করতে হবে। এবিষয়ে দপ্তরের আধিকারিকদেরও উদ্যোগী হতে হবে ও নাগরিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দপ্তরকে সময় বিশেষে নজরদারির উপর জোর দিতে হবে। বিলিং এজেন্সি এবং কালেকশন এজেন্সিগুলিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে হুকলাইন ছিন্ন করতে তথা অনাদায়ী বিল আদায় করতে কড়া পদক্ষেপ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যালোচনাসভায় বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ জানান, রাজ্যের ৮টি জেলায় চিহ্নিত ৮ টি গ্রামকে সৌরবিদ্যুতের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এনআইটি, ইকফাই ইউনিভার্সিটি, বিশালগড়ের জেলখানা, দূরদর্শন কেন্দ্রকে সৌরবিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, আগামীতে রাজ্যের সবকটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে সৌরবিদ্যুতের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
সভায় বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং জানান, ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। তিনি সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচি এবং আগামী দিনের বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার উপর আলোকপাত করেন। তিনি জানান, রাজ্যের মোট বিদ্যুতের প্রাপ্যতা রয়েছে ৫০৫ মেগাওয়াট এবং মোট চাহিদা রয়েছে ৫০৫ মেগাওয়াট। এবছর একদিনে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের চাহিদা ৩৬২.২০ মেগাওয়াট লক্ষ্য করা গেছে। রাজ্যে গড়ে বিদ্যুতের চাহিদা দিনে প্রায় ৩৩০ মেগাওয়াট। মোট গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে ৯ লক্ষ ৭১ হাজার ২১০। প্রতিদিন এই গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত পাঁচ বছরে প্রায় ২ লক্ষ ২৫ হাজার গ্রাহক বেড়েছে। তিনি রাজ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার উপর আলোকপাত করেন। তিনি জানান, বর্তমানে রাজ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন চাহিদার তুলনায় কিছুটা বেশি রয়েছে। আগামীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়ানোর জন্য দপ্তরের পরিকল্পনা রয়েছে।