রাজ্য সরকারের উন্নয়নের মূল অভিমুখ হচ্ছে একেবারে প্রান্তিক এলাকায় বাসবাসকারী ব্যক্তি পর্যন্ত উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুফল পৌঁছে দেওয়া। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াস বর্তমান সরকারের মূল চালিকাশক্তি। রাজ্যের জনগণের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নে সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। ত্রিপুরা শহুরী আজীবিকা মিশনের উদ্যোগে লাভারথি মহাসম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা মানিক সাহা এমনই বলেন বলেন । বুধবার রবীন্দ্র ভবন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মার্গ দর্শনে সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেওয়ার চিন্তাভাবনা বাস্তবায়িত করছে। রাজ্য সরকারও প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার মানোন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে চলেছে।
মহিলা ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের মহিলাদের সামনের সারিতে নিয়ে যেতে উদ্যোগী হয়েছেন । রাজ্য সরকারও সেই লক্ষ্যে মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছে। চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সরকারি মার্কেট স্টল বন্টনের ক্ষেত্রেও মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। রাজ্যে সাধারণ ডিগ্রি কলেজগুলিতে ছাত্রীদের জন্য ফি মকুব করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নগর উন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা শহুরী আজীবিকা মিশনের অধিকর্তা প্রসাদ রাও ভাদারাপু। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি প্রকল্প ও দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা ন্যাশনাল আরবান লাইভলিহুড মিশনের অন্তর্গত বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। এরমধ্যে ৫ জন স্ট্রিট ভেন্ডর, বাড়ি বাড়ি বর্জ্য সংগ্রহে যুক্ত বিভিন্ন স্বসহায়ক গোষ্ঠী সহ প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি প্রকল্পের সফল সুবিধাভোগীদের সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। তাছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৫ জন মহিলা অটো ড্রাইভারকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি প্রকল্প সফলভাবে রূপায়ণের জন্য আগরতলা পুরনিগম, ধর্মনগর পুরপরিষদ ও উদয়পুর পুরপরিষদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়াও এই প্রকল্পে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ও ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে সেরা পারফর্মিং ব্যাঙ্ক হিসেবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিগণ সংশ্লিষ্টদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, নগর উন্নয়ন দপ্তরের অধিকর্তা রজত পন্থ, আগরতলা পুরনিগমের অতিরিক্ত মিউনিসিপাল কমিশনার মহম্মদ সাজাদ পি এবং স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির কনভেনার বিকাশ দাস প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি ও দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা ন্যাশনাল আরবান লাইভলিহুড মিশনের উপর একটি তথ্যচিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি এবং দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা ন্যাশনাল আরবান লাইভলিহুড মিশনের সুবিধাভোগীরা তাদের অভিজ্ঞতার – কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানস্থলে স্বসহায়ক দলের বিভিন্ন সামগ্রীর উপস্থাপনা সম্বলিত প্রদর্শনী স্টলগুলি মধ্যমন্ত্রী ঘরে দেখেন।