ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম ব্রজেন্দ্রনগর জামে মসজিদের ইমাম।ঘটনা রবিবার সকালে মধুপুর থানাধীন ব্রজেন্দ্রনগর এলাকায়।হামলাকারী মুসলেম মিয়া বর্তমানে মধুপুর থানার পুলিশি হাজতে।এদিকে আক্রান্ত জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল কাদের বর্তমানে মধুপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ঘটনার বিবরণে জানা গেছে আসামের করিমগঞ্জ কাঁঠালতলী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদের গত একদশক ধরেই ব্রজেন্দ্রনগর জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে নিযুক্ত ছিল।ওই সুবাদে দীর্ঘদিন আগে থেকেই মতিনগর এলাকার বাসিন্দা মুসলেম মিয়ার সাথে পরিচয় গড়ে ওঠে।সেই সুবাদে মুসলেম মিয়ার পরিবারের সাথে ব্রজেন্দ্রনগর মসজিদের ইমামের একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে।মুসলেম মিয়ার অভিযোগ ইমাম আব্দুল কাদের তন্ত্রেমন্ত্রের অধিকারী।ফলে উনার এই মন্ত্রশক্তির বলে মুসলেমের পরিবারে যে অশান্তি চলছে তা তিনি নির্মূল করতে সক্ষম বলে জানিয়েছিলেন তাকে।ফলে পরিবারের সুখ শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অনেক টাকা পয়সা খরচ করা হয়েছে সেই ইমামের তলে।অভিযোগ কাজের কাজ কিছুই হয়নি।বিষয়টি নিয়ে ইমামের সাথে বেশ কয়েকদিন ধরেই বাক বিতন্ডা চলছিল অভিযুক্ত মুসলেমের।রবিবার সকালে ব্রজেন্দ্রনগর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে অভিযুক্ত মুসলেম ও ইমাম আব্দুল কাদেরের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে পুনরায় তর্ক বিতর্ক শুরু হয়।একটা সময় অভিযুক্ত রাগের মাথায় ইমামের ডান কানে কামড় বসিয়ে দু-টুকরো করে ফেলে।এতেও শান্ত হয়নি অভিযুক্ত।পরে মসজিদের ভেতর থেকে একটি দা এনে ইমামের ডান হাতে কোপ বসিয়ে দেয়।একটা সময় ইমামের আর্ত চিৎকারের স্থানীয়রা এগিয়ে এসে অভিযুক্ত মুসলিমকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রেখে খবর পাঠায় মধুপুর থানায়।অন্যদিকে আহত ইমামকে নিয়ে যাওয়া হয় মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।উনার মাথায় ও হাতে মোট দশটি সেলাই করে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা উনার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য ভর্তি রাখে হাসপাতালে।অন্যদিকে অভিযুক্ত মুসলেম মিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা নথিভুক্ত করে আগামীকাল কোর্টে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার।