আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে রাজ্যে গণবন্টন ব্যবস্থায় সরিষার তেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দপ্তর । সেই সাথে রাজ্যের রেশনশপগুলিকে মডেল রেশনশপ করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। সোমবার সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী খাদ্য দপ্তরের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী জানান এবারই প্রথম রাজ্য সরকারের উদ্যোগে রেশনশপের মাধ্যমে সরিষার তেল প্রদান করা হবে ভোক্তাদের মধ্যে। সারা রাজ্যের ৯ লক্ষ ৭০ হাজার রেশন কার্ড হোল্ডারদের কার্ড পিছু ১ লিটার করে সরিষার তেল দেওয়া হবে। বছরে চারবার ভর্তুকি মূল্যে এই সরিষার তেল ভোক্তাদের মধ্যে দেওয়া হবে। এই সরিষার তেল সরবরাহের জন্য তিনজন বিডারকে দপ্তর থেকে সাপ্লাই অর্ডার দেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিন, ইমামি ও লংতরাই এই তিনটি ব্র্যান্ডের সরিষার তেল ভোক্তাদের দেওয়া হবে। সরিষার তেলের দরপত্র স্থির হয়েছে প্রতি লিটার ১২৮ টাকা। তবে, রাজ্য সরকার এই মূল্যের উপর আরও ১৫ টাকা এককালীন ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভর্তুকিতে ভোক্তারা ১১৩ টাকা দরে প্রতি লিটার সরিষার তেল রেশনশপ থেকে ক্রয় করতে পারবেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী জানান, পরবর্তী সময় অর্থদপ্তরের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে এই ভর্তুকি মূল্য পরিবর্তন হতে পারে। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে খাদ্য দপ্তরের বিশেষ ক্যানভাস ব্যাগের মাধ্যমে এই সরিষার তেল ভোক্তাদের দেওয়া হবে। ক্যানভাস ব্যাগের মধ্যে সরিষার তেল ছাড়াও ভোক্তাদের জন্য ১ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি ময়দা, ৫০০ গ্রাম সুজি ও ৫০০ গ্রাম আটা থাকবে। এই ক্যানভাস ব্যাগটির মূল্য হল ৬৮ টাকা ৬৫ পয়সা। এই ক্যানভাস ব্যাগের জন্য দপ্তর থেকে ৬ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হবে। এই ক্যানভাস ব্যাগটি বিনামূল্যে ভোক্তাদের মধ্যে প্রদান করা হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্য মন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নিদের্শিকা অনুযায়ী রাজ্যের ২,০৫৬ টি রেশনশপকে সুসজ্জিত করে মডেল রেশনশপে রূপান্তর করা হবে। প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের ৮টি জেলা থেকে চিহ্নিত ৬০০টি রেশনশপকে মডেল রেশনশপে রূপান্তর করা হবে। এর জন্য রেশনশপগুলিকে ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এর জন্য খাদ্য দপ্তরের ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। পরবর্তী সময় ধাপে ধাপে সারা রাজ্যের সবকটি রেশনশপগুলিকে মডেল রেশনশপে রূপান্তরিত করা হবে। খাদ্য মন্ত্রী আরও জানান, আসন্ন শারদোৎসব উপলক্ষে খাদ্য দপ্তরের অধীনে থাকা ৬৩৫ জন শ্রমিককে ২০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরজন্য দপ্তরের বায় হবে ১২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারী ও অতিরিক্ত অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা ।