অনেক আপত্তি সত্ত্বেও অবশেষে তিন বছর পর বেশ কয়েকটি ছিনতাইকাণ্ডে ব্যবহৃত আটক করা বোলেরো গাড়িটি অবশেষে আইনের জটিলতা শেষে পুনরায় ছিনতাইকারীর পৌঁছল।বুধবার রাতে কোনো এক সময় ছিনতাইকাণ্ডে ব্যবহার করা আটককৃত বোলেরো গাড়িটি থানার পেছন থেকে অন্য একটি গাড়ির সাহায্যে মালিকের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হয়েছে বিশালগড় থানা।খবর নিয়ে জানা গেছে বিশালগড় থানার ওসি মহকুমা আদালতে ১০২ সিআরপিসি আইনে গাড়িটিকে সিজ দেখিয়ে মহকুমা আদালতে পাঠায়।আর সেখান থেকে জামিন মঞ্জুরের পর পাওয়ার অফ এটর্নি দেওয়া ছিনতাই কাণ্ডের অপর এক পাণ্ডার হাতে গাড়িটি তুলে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ছিনতাই কাণ্ডে ব্যবহার করা এই গাড়িটি দীর্ঘ তিন বছর থানা চত্বরে পড়ে থাকলেও কারোর কোন হেলদোল ছিল না এই বলে যে বিশালগড় বাইপাস এলাকায় ছিনতাই কাণ্ডের মতো ঘটনা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছিল।অবশেষে গাড়িটি ঘুরেফিরে পুনরায় ছিনতাই বাজদের হাতে পৌঁছায় বেশ চিন্তায় পড়েছে বিশালগড়বাসী।এখানে উল্লেখ্য একটা সময় বিশালগড় বাইপাস দিয়ে চলাফেরা মানেই ছিনতাই বাজদের দাওয়াত দেওয়ার মত অবস্থা ছিল।নিত্যদিন চলন্ত বাইক থেকে স্বর্ণের হার,টাকার ব্যাগ ছিনতাই একটা নিত্যনৈমিওিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।এতে সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশ এক প্রকার দিশেহারা হয়ে পড়ছিল ছিনতাই বাজদের দৌরাত্ম্যে।তখন অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ২০২০ সাল নাগাদ এসডিপিও রাহুুল দাসের নেতৃত্বে বিশালগড় বাইপাসে বেশ কয়েকটি ছিনতাই কান্ডে ও নেশা সামাগ্রী পাচারে ব্যাবহার করা TR01BH0528 নম্বরের নতুন বোলেরো গাড়িটি আটক করতে সক্ষম হয়েছিল।বৃহস্পতিবার যারা এই গাড়িটি ছিনতাই বাঁজদের হাতে তুলে দিয়েছে তারা জানেনা বিশালগড়ের সাধারণ মানুষকে কি বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে।তথ্যবিজ্ঞ মহলের অভিমত যেহেতু গাড়িটি তিন বছর ধরে পুলিশি হেপাজতে থাকার ফলে বিশালগড়ে ছিনতাই বন্ধ হয়ে গেছে এবং মানুষও অনেকটা নিরাপদে আছে তাহলে বিশালগড় থানার ওসির কি স্বার্থ রয়েছে গাড়িটি ছাড়িয়ে দিতে এত তৎপরতার পেছনে।