রাজ্যে নির্বাচন পর্ব মিটে গিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনওোর সন্ত্রাস কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না গোটা বিশালগড় মহকুমা এলাকায়।শনিবার রাতে চড়িলামের পরিমল চৌমুহনি সংলগ্ন গৌতম কলোনিতে সংঘটিত রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনাটি তারই জলজ্যান্ত উদাহরণ।এদিন রাতে দফায় দফায় আক্রমণে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে চড়িলাম বিধানসভার গৌতম কলোনি এলাকায়।জানা গেছে কমপক্ষে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত বাহিনী এলাকার ১০-১৫ টি বসতঘরে অতর্কিত হামলা চালায়,ভাঙচুর করা হয় ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সবকিছু।পাশাপাশি ২০-২৫ জন দৈহিকভাবে আক্রমণের শিকার হন।অভিযোগের তীর কংগ্রেস ও সিপিআইএমের বিরুদ্ধে।আক্রান্তদের বক্তব্য নির্বাচন যে বামগ্রেস জোটের কর্মীরাই এই বিজেপি সমর্থিত বাড়িঘর গুলিকে চিহ্নিত করে সঙ্ঘবদ্ধভাবে ক্রমাগত আক্রমণ চালাচ্ছে।ভাংচুর করা হয়েছে চড়িলাম মন্ডলের এস.সি মোর্চার সভাপতি রাজেশ দাসের বাড়িও।তাদের আরও অভিযোগ এদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে এলাকায় জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে অশান্তির পরিবেশ তৈরী করা।কিন্তু অপরপক্ষের অভিযোগ বিজেপির সক্রিয় কর্মীরাই বিজেপি দলের পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে আক্রমণ করেছে।এতে আহত হয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সহ মোট পাঁচজন।আহতরা হল যথাক্রমে চন্দন দেবনাথ,নন্দন দেবনাথ,দুলাল দেবনাথ,গোপাল দেবনাথ ও গৌতম দেবনাথ।এক্ষেত্রে আক্রান্তদের অভিযোগ স্থানীয় নেতৃত্ব তথা এস.সি মোর্চার মন্ডল সভাপতি রাজেশ দাসের দুর্নীতির বিষয়ে আওয়াজ তুলতেই তার নেতৃত্বে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীরা তাদের বাড়িঘরে আক্রমণ চালিয়েছে।তারা আরও জানান এই সকল দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বের তান্ডবের কারণেই এলাকায় এত উন্নয়ন সত্বেও মানুষ জিষ্ণু দেববর্মাকে ভোট দেয়নি।ফলে এই সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিশালগড় থানার পুলিশ সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।আহতদের রাতেই অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের সহায়তায় উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে।অন্যদিকে গোটা এলাকা কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় এবং পুলিশ তৎপরতার সাথে রাতেই চার দুষ্কৃতিকে জালে তুলতে সক্ষম হয়।এ নিয়ে উভয় পক্ষের তরফেই বিশালগড় থানায় মামলা পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।সব মিলিয়ে চড়িলামের মানুষ একপ্রকার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।