নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-গোপাল সিং এর রিপোর্ট
খোয়াই জেলার পদ্মবিল ব্লকের দুটি স্কুলে সংস্কারকাজ ঘিরে বড়সড় অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনল ২৪-রামচন্দ্রঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের তিপ্রামথা পার্টির বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা।তাঁর দাবি, “সামগ্রিক শিক্ষা প্রকল্পের নামে কোটি টাকার বরাদ্দ হলেও,কাজ হচ্ছে দায়সারা ও অত্যন্ত নিম্নমানের।তিনি চিঠিতে আরও দাবি করেন সরকারি নথি অনুযায়ী,দুই স্কুলের সংস্কারকাজে মোট বরাদ্দ ছিল ১২ লক্ষ টাকা।তবে টেন্ডারের মাধ্যমে চূড়ান্ত অনুমোদিত অর্থ দাঁড়ায় ৭,২১,০৮০ টাকা (৭ লক্ষ ২১ হাজার ৮০ টাকা) যা মূল অনুমুদিত অর্থের প্রায় ৩৯.৯১% কম।এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় চরগনকি নিবাসী সুশান্ত গোপকে।কাজটি সম্পূর্ণ করার সময়সীমা ধরা হয়েছিল দুই মাস।
বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা অভিযোগ করতে গিয়ে জানান সংস্কারকাজে বরাদ্দ অর্থের সঠিক ব্যবহার হয়নি।স্থানীয় মানুষের কাছ থেকেও একাধিক অভিযোগ এসেছে যে কাজের মান অত্যন্ত খারাপ ও টেকসই নয়।তাঁর দাবি,ঠিকাদার মাত্র এক লক্ষ টাকার মতো খরচ করেছেন,ফলে বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ কার্যত অব্যয়িত রয়েছে।বিধায়ক লিখিতভাবে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা সহ খোয়াই জেলা শিক্ষা আধিকারিক এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল দপ্তরে অভিযোগ জানান। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, একাধিকবার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার বিজয় দেবনাথ (সহকারী প্রকৌশলী)-এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনও সদুত্তর পাননি।
চিঠিতে রঞ্জিত দেববর্মা তদন্তের দাবি জানিয়ে অনুরোধ করেন— জরুরি ভিত্তিতে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হোক এবং তাঁর উপস্থিতিতে স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সংস্কারকাজ খতিয়ে দেখা হোক। তিনি সরাসরি অভিযোগ তোলেন, “সংস্কারের নামে টাকা লুট হচ্ছে, যা শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছতার পরিপন্থী।” বিধায়কের এই বিস্ফোরক অভিযোগে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়েছে।