ডুকলি ব্লকের অন্তর্গত পাণ্ডবপুর ও সেকেরকোট গ্রাম পঞ্চায়েতে আর.ও.আর সার্টিফিকেটের জন্য ১৫ দিন এবং ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য এক মাস সময় লাগে।কেন্দ্রীয় সরকার সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালু করলেও আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে এটাই হল বাস্তব চিত্র।বর্তমান ডিজিটালাইজেশন যুগেও বিভিন্ন সরকারি অফিস আদালতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ মানুষের পরিষেবা আরও সহজ সরল করে তুলতে প্রত্যেকটি অফিসে সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালু করলেও আমাদের রাজ্যের অফিস আদালতে কর্মসংস্কৃতির বিন্দুমাত্রও মাত্র পরিবর্তন হয়নি।তার একটাই কারণ কর্মচারীরা অফিসের কম্পিউটার থেকে মোবাইলের স্ক্রিনেই বেশি সময় কাটাতে পছন্দ করেন।রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কর্মচারীদের মিছিল মিটিং এ হাঁটতে না হলেও অফিস কামাইয়ের সেই পুরনো স্টাইল এখনো পরিবর্তন হয়নি।সম্প্রতি সাধারণ মানুষের তরফে যে অভিযোগগুলো উঠে এসেছে তাতে এটাই প্রমাণিত হয়।ডুকলি ব্লকের অধীন গ্রাম পঞ্চায়েত গুলির অবস্থা খুবই করুণ।দু-সপ্তাহ আগে পাণ্ডবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা রসিক চাঁদ চৌধুরী একটি আর.ও.আর সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেন সচিবের নিকট।আশ্চর্যের বিষয় হল একটি আর.ও.আর সার্টিফিকেট এর জন্য তিন দিন পঞ্চায়েতের দরজায় করা নাড়তে হয়েছে।বাধ্য হয়ে শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি ডুকলি ব্লকের ভিডিও সুশান্ত দত্তকে জানানো হয়।তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নিলে পঞ্চায়েত সচিব উনাকে জানিয়ে দেন রসিক চৌধুরীর সার্টিফিকেট তৈরি হয়ে গেছে কিন্তু উনি ওই সার্টিফিকেট নিতে আগ্রহী নয়।ব্লকের ভিডিওর তরফে এমন উত্তর পেয়ে পঞ্চায়েতে গেলে দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক আমতা আমতা শুরু করেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই আর.ও.আর সার্টিফিকেট হাতে ধরিয়ে দেন।অন্যদিকে সেকেরকোট চা-বাগান এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত রতন দেববর্মার পরিবার গত এক মাস ধরে সেকেরকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা সচিবের নিকট নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছে ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য।কিন্তু রতন দেববর্মা এক মাস আগে প্রয়াত হলেও উনার পরিবার এখনো ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পায়নি।শনিবার সেকেরকোট পঞ্চায়েত সচিবের নিকট দেরির কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান পঞ্চায়েতে নাকি মোট ২৩ টি বিভিন্ন ধরনের কাজের দায়িত্ব সামলাতে হয় উনাকে।তাই উনার পক্ষে সবকিছু সময়ে করা সম্ভব নয়।ফলে বোঝাই যাচ্ছে গ্রামেগঞ্জে সাধারণ মানুষের পরিষেবা কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে।