৯ বছর আগে বাস দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যুর মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিল বিশালগড় মহকুমা আদালত।খবর নিয়ে জানা গেছে ২০১৫ সালে পূর্ব প্রতাপগড়ের বাসিন্দা সমীর বিশ্বাস বিশ্রামগঞ্জ শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে আগরতলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।জাতীয় সড়কে আসার পর হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ায় স্ত্রী ও সন্তানকে একটি বাস গাড়িতে তুলে দিয়ে সমীর তার স্কুটি নিয়ে রওনা হয়।চড়িলামের পুষ্করবারি এলাকায় পৌঁছতেই TR01A1297 নম্বরের একটি বাস গাড়ি সজোড়ে ধাক্কা মারে সমীর বিশ্বাসকে।এতে সমীর বিশ্বাস তার স্কুটি নিয়ে যাত্রীবাহী বাস গাড়ীর নিচে ঢুকে পড়ে।বৃষ্টি থাকায় বাস গাড়ির চালক ব্রেক কষা সত্ত্বেও ২০ থেকে ২৫ মিটার দূর পর্যন্ত হিচড়ে নিয়ে যায়।এতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় স্কুটি চালক সমীর বিশ্বাসের।পরে বিশ্রামগঞ্জ থানায় একটি যান দুর্ঘটনার মামলা দায়ের হয় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায়।যার নম্বর ছিল BRG P.S Case No-36/ 2015।মামলা হাতে নিয়ে বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ বাস গাড়ির চালক জীবন কৃষ্ণ দেবনাথকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে।এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৭ জনের সাক্ষ্য বাক্য গ্রহণ করে সোমবার বিশালগড় মহকুমা আদালতের স্পেশাল জজ দেবাশীষ কর অভিযুক্ত বাস গাড়ির চালক জীবন কৃষ্ণ দেবনাথকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করে এবং ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করে।অনাদায় আরও এক বছরের অতিরিক্ত জেল হাজতের নির্দেশ প্রদান করে।সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর গৌতম গিরি।