সোমবার রাতে ‘রামেল’ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তছনছ বিশালগড় মহকুমার বিভিন্ন এলাকা।সকাল থেকে কমলাসাগর বিধানসভার বেশ কয়েকটি জায়গায় যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে বড় বড় গাছ ও বৈদ্যুতিকে খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে।সকাল নাগাদ মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাতায়াতের মূল সড়কের উভয় দিকে যান বাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়।পাশাপাশি কমলাসাগর মাতাবাড়ি যাওয়ার মূল সড়কের উপর ও দু-তিনটি জায়গায় বহুু পুরোনো একাশিয়া গাছ ভেঙে পড়ে যাতায়াত স্তব্ধ হয়ে পড়ে।ফলে বিশালগড় মহকুমা প্রশাসনের তরফে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আগে থেকেই তৈরি থাকা টিম কয়েকটিভাগে বিভক্ত হয়ে মাঠে নেমে পড়ে। এনডিআরএফ ভলান্টিয়ার,টিএসআর ও সিভিক একশন টিমকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজে হাত লাগায় ডিসিএম প্রসেনজিৎ দাস সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে টানা রেস্কিউ অভিযান।বিকেল পর্যন্ত বিশালগড় মহকুমা প্রশাসনের কাছে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষয়ক্ষতির যে চিত্র উঠে এসেছে তা হল নিম্নরূপ।দক্ষিণ চম্পামুড়াতে দুটি,মধুপুরে ১টি,দেবীপুরে ৫টি,গোলাঘাটিতে ৭টি,ঘনিয়ামারাতে ২টি,বিশালগড়ে ৪টি বাড়ি ঘরের আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।অন্যদিকে ঘূণিঝড়ের ফলে বিশালগড়ে ৭টি ও ঘনিয়ামারাতে ১টি বসত ঘরের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।ডিসিএম প্রসেনজিৎ দাস জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে স্থানীয় তহশিলদার, রেভিনিউ ইন্সপেক্টর,পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের যৌথ সমীক্ষা শেষে আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের ১০ হাজার টাকা ও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য করার জোর চেষ্টা চলছে।