স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় অবশেষে দুই সন্তান সহ স্ত্রীর ঠাই হলো বাপের বাড়িতে। ঘটনা টাকারজলা থানাধীন গোলাঘাটির নোয়াপাড়া এলাকায়। ঘটনার বিবরণের জানা গেছে আজ থেকে এিশ বছর আগে গোলাঘাটির নোয়াপাড়া এলাকার যতন দেবনাথ(৫৫)এর সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় পূর্ব গকুলনগরে শিপ্রা দেবনাথের। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপর অকথ্য নির্যাতন চালাত যতন দেবনাথ। প্রথমদিকে শিপ্রা দেবনাথ বিষয়টি বুঝতে না পারলেও সাংসারিক ঝামেলার আসল কারণ জানতে আর বেশি দেরি হয়নি। জানা গেছে শিপ্রা দেবনাথের স্বামী যতন দেবনাথের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল উনারই বড় বৌদি উমা দেবনাথের সাথে। লোকলজ্জার ভয়ে প্রথমদিকে মুখ বুজে সব কিছু সহ্য করে। পরে তাদের সংসারে দুটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয় বর্তমানে যাদের বয়স যথাক্রমে ২৮ ও ২৪।এখন ছেলে সন্তানরা বিষয়টির প্রতিবাদ করতেই সাংসারিক ঝামেলা বেড়েই চলছে। গত বৃহস্পতিবারেও তাদের এই অবৈধ কার্যকলাপ শিপ্রা দেবনাথের নজরে আসে। বিষয়টি উনার বড় ছেলে নন্দন দেবনাথের নজরে নেওয়া হলে ঘটনা সম্পর্কে তার বাবার কাছে বিষয়টি জানতে চাইতেই তাদের উপর প্রাণঘাতী আক্রমণ শুরু করে বাবা যতন দেবনাথ,জেঠু রতন দেবনাথ ও উমা দেবনাথ। ছেলেকে বাঁচাতে শিপ্রা দেবনাথ এগিয়ে আসতেই স্ত্রীর উপর দা দিয়ে কোপ বসিয়ে দেয় স্বামী যতন দেবনাথ। কিন্তু ভাগ্যক্রমে সরে যাওয়ায় দায়ের কোপ মাথায় না লেগে সোজা গিয়ে লাগে উনার ডান পায়ে। এতে উনার প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয় ফলে তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাথমিক হাসপাতালে কিন্তু উনার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গেই তাকে রেফার করা হয় আগরতলার জিবি হাসপাতালে। ওইখানে উনার ডান পায়ে দশটির উপর সেলাই করতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাণের ভয়ে দুই ছেলে সন্তানসহ বর্তমানে উনি আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন পূর্ব গোকুলনগরস্থিত বাপের বাড়িতে। এখান থেকেই লিখিতভাবে সিপাহীজলা জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে বিস্তারিত উল্লেখ করে। এখন পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে।