টি এস আরে পদোন্নতি প্রক্রিয়া নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে । গত জানুয়ারি মাসে অ্যাড হক প্রমোশন পেয়ে অনেকে সুবেদার একাউন্টেন্ট হয়েছিলেন। এখন ওইসব আধিকারিকদের আবারো এড হক প্রমোশনের মাধ্যমে সুবেদার হেডলার্ক বানানোর তোড়জোড় চলছে। এই লক্ষ্যে গত ১১ আগস্ট ডিআইজিপিকে (এপি ) চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া নিয়ে টিএসআর এর বিভিন্ন মহল বিস্ময় ব্যক্ত করেছে। অনেকের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোন কর্মচারী তার চাকুরী জীবনে একবার এড হক প্রমোশন পেতে পারে। এই গাইডলাইন উপেক্ষা করে পদোন্নতীর তোরজোর চলছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানান,রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়াই এই পদোন্নতির প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে এর জন্য কে দায়ী হবে তা নিয়েও টিচারের বিভিন্ন মহলে কথাবার্তা চলছে। তার মধ্যেই পদোন্নতির জন্য গঠিত কমিটিকে আগামী ২৬ আগস্ট এর মধ্যে বোর্ড প্রসিডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। যা সম্পন্ন হলে সাধারণ এবং এসটি ক্যাটাগরির আধিকারিকগণ সুবেদার হেড ক্লার্ক পদে প্রমোশন পেয়ে যাবেন। এদিকে,রিফ্রেসার ট্রেনিং নিয়েও টিএসআরে অসন্তোষ চলছে। প্রতিটি ব্যাটেলিয়ানের এক কোম্পানি জোয়ানদের বছরে দুই মাস রিফ্রেশার ট্রেনিংয়ে পাঠানো হয়। অনেকেই বলেছেন,যারা ট্রেনিং করছেন তারা করেই চলেছেন। যারা করছেন না তাদের ট্রেনিং এর আওতায় আনা হচ্ছে না। বছরের পর বছর তারা ট্রেনিং ছাড়াই থাকছেন। প্রতিটি ব্যাটালিয়নের তিনশোর মত জোয়ান অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকসহ বিভিন্ন অফিসারদের সাথে এটাচ রয়েছেন। প্রতি ছয় মাস অন্তর তারা কমান্ড চেঞ্জ করে যথারীতি টিএডিএ পেয়ে যাচ্ছেন। এজি কিংবা ফিন্যান্স এর অডিট টিম নিয়মিত ব্যাটালিয়নগুলিতে হিসাব নিরীক্ষণ গেলেও এসব বিষয় তাদের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকছে।