অঙ্গনওয়াড়ীর চাকরি বন্টন ইস্যুতে দুই ভাগে বিভক্ত শাসক দলীয় কর্মীরা।অভিযোগের তীর কমলাসাগর মন্ডলের সহ-সভাপতি তথা ডুকলি পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার এবং পঞ্চায়েত প্রধান ও উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে।শনিবার ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে কমলাসাগরের বিধায়িকা অন্তরা দেব সরকার নিজে ময়দানে অবতীর্ণ হন এবং ম্যারাথন বৈঠক করেন ফুলতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের কমিউনিটি হলে।অবশেষে দলীয় কর্মীদের নিরপেক্ষ দাবির চাপে অবশেষে পিছু হটতে বাধ্য হন খোদ বিধায়িকা।উল্লেখ্য কমলাসাগর বিধানসভার ফুলতলী গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি নতুন অঙ্গানওয়ারী সেন্টারে হেল্পার ও ওয়ার্কার নিয়োগের প্রপোজাল আসে।সেই অনুযায়ী দলীয় কার্যকর্তারা দুর্দিনের কর্মী স্বপন ঘোষের স্ত্রী রুমা ঘোষের নাম প্রস্তাব করে এবং সেই অনুযায়ী তিনি কাজেও যোগ দেন গত এক বছর পূর্বে।কোন সরকারি ভাতা ছাড়াই গত এক বছর ধরে নিজ দায়িত্ব পালন করে আসছিল একটি স্থায়ী কর্মসংস্থানের আশায়।কিন্তু কথায় আছে টাকা দিলে বাঘের চোখও মেলে।ফলে লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে প্রধান,উপ-প্রধান এবং মন্ডলের সহ-সভাপতির যোগসাজশে অফার চলে যায় সদ্য দলে যোগ দেওয়া বাবুল দেবনাথের স্ত্রী বুলটি দেবনাথের নামে।বিষয়টি জানাজানি হতেই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে শাসক দলীয় কর্মী সমর্থকরা।নিচুস্তরের কর্মীদের বক্তব্য যেহেতু বুথ লেভেল থেকে নাম ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল স্বপন ঘোষের স্ত্রী রুমা ঘোষের,তাহলে মাঝপথে এই দুর্নীতি কে সংঘটিত করেছে?বিধায়িকার কানে এই দুর্নীতির খবর পৌঁছতেই তিনি খোদ মাঠে নামেন শনিবার দুপুরে।একদিন ফুলতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের কমিউনিটি হলে ডাকা বৈঠকে সকলকে উপস্থিত থাকার বার্তা দিলেও আশ্চর্য জনকভাবে অনুপস্থিত ছিল মন্ডলের সহ-সভাপতি দুলাল সরকার।দেখা গেছে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়মের কোন তোয়াক্কাই করা হয়নি।দেখা গেছে কোন ধরনের রেজুলেশন ছাড়াই ওয়ার্ডের মেম্বার এবং পঞ্চায়েত সেক্রেটারিকে ঘুমে রেখে তাদের স্বাক্ষর ছাড়াই সিডিপিও অফার পাঠিয়ে দিয়েছে বাবুল দেবনাথের স্ত্রী বুলটি দেবনাথের নামে।ফলে বিধায়িকা ঘটনাটি নিজে প্রত্যক্ষ করে সিডিপওকে নির্দেশ দেন অফারটি বাতিল করতে সমস্ত সরকারি নিয়মকানুন মেনে প্রক্রিয়া শুরু করতে।ফলে এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট দলের হেভিওয়েট নেতৃত্বরা ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের গুটি সাজাতে ব্যস্ত থাকলেও মন্ডল স্তরের নেতৃত্বরা বাড়তি উপার্জনে ব্যস্ত।