জনতার বিধায়ক জনতার দরজায়।বিশালগড় বিধানসভার প্রত্যেকটি আমজনতা সুশান্ত দেবের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ রবিবার দুপুরে তা আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল।ঘটনার বিবরনে জানা গেছে বিশালগড় উত্তর ঘণিয়ামারা এলাকার বাসিন্দা লক্ষী দত্ত গত কিছুদিন আগে বিধায়কের বাড়িতে গিয়েছিল তার সংসারের নিত্যদিন জীবনযুদ্ধের কাহিনী শোনাতে।কিন্তু বিধায়ককে না পেয়ে বাড়ি চলে এসেছিলেন হতদরিদ্র বৃদ্ধা লক্ষ্মী দত্ত।যেহেতু সুশান্ত দেব এলাকার বিধায়ক তাই প্রতিদিন উনার বাড়িতে অসংখ্য লোকের ভিড় থাকাটা খুবই স্বাভাবিক।কিন্তু বিধায়ক বাড়িতে এসে এত লোকের মধ্যেও লক্ষী দত্তের কথা শুনে নিজে উনার বাড়িতে যাওয়ার জন্য মনস্থির করেন।যেমন ভাবা তেমন কাজ।রবিবার সকালে এলাকার বিধায়ক ছুটে যান উত্তর ঘনিয়ামারা এলাকার লক্ষ্মী দত্তের বাড়িতে।বিধায়ককে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই হতদরিদ্র মহিলা,পরে বিধায়ক উনার ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং ভাতার টাকা না পাওয়া পর্যন্ত ভাতার টাকা বিধায়কের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়ে দেন।পাশাপাশি লক্ষ্মী দত্তের ছেলের চিকিৎসা ভার ও নাতনির পড়াশোনা খরচও বিধায়ক সুশান্ত দেব নিজের কাঁধে তুলে নেন।বর্তমান যুগে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমজনতাকে যেখানে জনপ্রতিনিধির দরবারে দিনের পর দিন হাজিরা লাগাতে হয় সেখানে লক্ষ্মী দত্তের ঘটনাটা অনেকটাই ব্যতিক্রমী বলে উল্লেখ করেন বিশালগড়ের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মহল।