কমলাসাগর বিধানসভার মধুপুর থানা এলাকা যে নেশা কারবারীদের মৃগয়া ক্ষেত্র তা আবারও প্রমাণিত।কমলাসাগর বিধানসভার দেবীপুর গোশালায় গো-খাদ্য পরিবহনের আড়ালে চলছে নেশা দ্রব্য পাচার।গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে শনিবার রাতে একটি UP70CT4611 নম্বরের ১২ চাকার লরি সঙ্গে উত্তর প্রদেশের কানপুর জেলার অঙ্কুশ শুক্লা এবং রাজন সিং কে আটক করে মধুপুর থানার পুলিশ।নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে রাতেই লরিটি নিয়ে আসা হয় বিশালগড় থানায়।রবিবার সকালে বিশালগড় থানা চত্বরে ট্রাকের মাল খালাস করতেই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।দেখা গেছে উপর দিয়ে ভুষির বস্তা রেখে ভেতরে সারিবদ্ধভাবে কার্টুন ভর্তি এসকফ রাখা।বিশালগড় মহকুমার ডিসিএম এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের উপস্থিতিতে মোট ৩০০ কার্টুন থেকে ৪৮হাজার বোতল এসকফ উদ্ধার করা হয়েছে।যার আনুমানিক বাজার মূল্য তিন কোটি টাকার উপর।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে উত্তর প্রদেশ থেকে এসকফ বোঝাই লরি সবকয়টি রাজ্যের পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে রাজ্যের চুড়াইবাড়ি চেকপোস্ট সহ বেশ কয়েকটি থানার নিরাপত্তা বেষ্টনি পেরিয়ে মধুপুর পর্যন্ত নিরাপদে কি করে পৌঁছল?এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে।অন্যদিকে রবিবার সন্ধ্যায় সিপাহীজলা জেলার পুলিশ সুপার বিজে রেডি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জানান বেশ কয়েকদিন ধরেই উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছে গোপন খবর ছিল নেশা দ্রব্যের একটা বড় কন্সাইনমেন্ট বাংলাদেশে পাচার হবে।সেই মোতাবেক জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি টিম শনিবার রাত রাত দশটা থেকে বিশালগড় এবং মধুপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় ওৎ পেতে থাকে।সেই মোতাবেক রাত বারোটা নাগাদ গাড়িটি রাস্তার মাথা পেরিয়ে কমলাসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা হতেই পুলিশ চ্যালেঞ্জ জানায় এবং গাড়িটির মধুপুর থানাধীন পূর্ণ সেনাপতি পাড়া এলাকায় গিয়ে আটক করতে সক্ষম হয়।সেখান থেকে গাড়িটি আটক করে সোজা নিয়ে আসে বিশালগড় বিশালগড় থানায়।এখন আইন অনুযায়ী যা যা করণীয় সেই মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।