এনডিপিএস এর মত গুরুত্বপূর্ণ মামলাও এক অদৃশ্য শক্তি বলে দফারফা হয়ে যায়।রবিবার এমনই একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটল বিশালগড় থানাধীন রামছড়া এলাকায় গাঁজা বিরোধী অভিযানে গিয়ে।পুলিশ ৩০৩ কেজি শুঁকনো গাঁজা উদ্ধারের দাবি করলেও একটি বিশ্বস্ত সূত্রের খবর অনুযায়ী গাঁজার আসল মালিককে পার পাইয়ে দিতে গিয়ে অন্য একজনকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।খবর অনুযায়ী গাঁজার আসল মালিক ছিল ঝন্টু ভৌমিক(৫০) পিতা মৃত শীতল ভৌমিক।কিন্তু পুলিশ মামলা লিপিবদ্ধ করেছে ঝন্টু ভূমিকের ভাতিজা প্রবীর ভৌমিক(২৩) পিতা নিখিল ভৌমিকের নামে।খবর নিয়ে জানা গেছে গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে ডিএসপি ডিআইবি কেশব হরি জমাতিয়া ও বিশালগড় থানার সেকেন্ড ওসি বিদ্যা দেবর্বমা বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালায় চড়িলাম বিধানসভার রামছড়া এলাকার ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা ঝন্টু ভৌমিক(৫০) এর বাড়িতে।কিন্তু পুলিশের তল্লাশি অভিযানের আঁচ পেয়ে গাঁজা ব্যাপারীরা প্যাকেট করা গাঁজাগুলি ঘর থেকে ঢিল দিয়ে বাইরে ফেলে দেওয়ার সময়ই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পড়ে।পরে এই ৩২ কেজি ওজনের ৯টি গাঁজার বস্তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।বিশালগড় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দুলাল দত্ত সাংবাদ মাধ্যমে জানান বাড়ির মালিক প্রবীর ভৌমিকের নামে এনডিপিএস ধারায় একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে যার নম্বর বিএলজি পিএস কেইস নম্বর ৭/২০২৫।তাছাড়া উদ্ধারকৃত গাঁজাগুলির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন।উল্লেখ্য ডিএসপি ডিআইবি কেশব হরি জমাতিয়ার গোপন খবর ও তিনি নিজে স্বশরীরে উপস্থিত থাকার ফলেই পুলিশের এই সাফল্য বলে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর।