হিজাব কান্ডে উত্তপ্ত বিশালগড়ের কড়ুইমুড়া।এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুক্রবার কড়ুইমুড়া স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রের দুই পক্ষের মারামারিতে গুরুতর আহত এক।খবর পেয়ে বিশালগড় অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা আহত ছাত্রকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে।পরে আহত ছাএের পক্ষে একদল যুবক স্কুলের ভেতর ঢুকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।একটা সময় আহত ছাএের পক্ষের লোকজনরা কড়ুইমুড়া স্কুলের মূল ফটকের সামনে সড়ক অবরোধে বসে আহত স্কুল ছাএকে মারধরকারী তার সহপাঠীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে।এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেখে বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।ঘটনার খবর পেয়ে বিশালগড় থানার পুলিশ ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।উল্লেখ্য এক সপ্তাহ আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিশালগড় প্রখণ্ডের তরফে কড়ুইমুড়া বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি মেমোরেন্ডাম তুলে দেওয়া হয়েছিল বিদ্যালয়ে যেন ছাএীরা হিজাব ছেড়ে স্কুল ইউনিফর্ম পড়ে আসে।সেই অনুযায়ী বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকও লিখিত আকারে কোন নির্দেশ না দিলেও মৌখিকভাবে কয়েকজন ছাত্রীকে হিজাব পরে বিদ্যালয়ে না আসতে বারণ করেছিলেন বলে খবর।আর এরপর থেকেই এলাকার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হতে থাকে।শুক্রবারও অন্যান্য দিনের মত কয়েকজন ছাত্রী হিজাব পড়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশের পথে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া দুই ছাত্র তা ক্যামেরাবন্দি করার সময় অপর সহপাঠীর সাথে দুই পক্ষের মধ্যে এই বিষয় নিয়ে ব্যাপক ভাগ বিতন্ডা শুরু হয় যা একটা সময় মারপিটের রুপ নেয়।এখন প্রশ্ন হচ্ছে একদিকে ছাত্রীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা আর অন্যদিকে বিদ্যালয়ের নির্ধারিত ইউনিফর্ম।কোনটি সঠিক তাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।তবে বিষয়টিকে নিয়ে যে রাজনৈতিক মেরুকরণ করা হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।তবে এলাকার বিধায়ক বহিঃরাজ্যে থাকায় সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানান বিশালগড়ে শান্তির পরিবেশ নষ্ট করতে একটা দুষ্টচক্র অপপ্রয়াস চালাচ্ছে যা কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।শুক্রবার রাতের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রচুর পরিমাণে মোতায়েন করা হয়েছে টিএসআর।