সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের উপর কোনও ধরণের আক্রমণ সরকার বরদাস্ত করবে না। এ বিষয়ে রাজ্য সরকার সব সময় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। শনিবার মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টসের দ্বিতীয় রাজ্য সম্মেলনের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদমাধ্যমকে সব সময়ই দায়িত্বশীল হতে হবে। তবেই রাজ্যকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকে সরকারের উন্নয়নমূলক তথ্য সমাজের অন্তিম ব্যক্তির কাছেও পৌঁছানোর জন্য ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদমাধ্যমকে দাবিয়ে রেখে কখনও এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা আবশ্যক।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদমাধ্যমগুলো তথ্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করলে সরকারের পক্ষে কাজ করা সহজ হয়। সরকারের কোন ভুল ত্রুটি থাকলে তা অবশ্যই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পরিবেশন করা সংবাদমাধ্যমের অন্যতম দায়িত্ব। রাজ্য সরকারও সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের সমস্যা সমাধানে আন্তরিক। শুধু কথা নয় কাজের মাধ্যমেই তা প্রমাণ করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের সাংবাদিকগণ দেশের যেকোন রাজ্যের সাংবাদিকদের তুলনায় কোনও অংশে কম নন। রাজ্যের বহু সাংবাদিক আন্তর্জাতিক স্তরে সুনাম অর্জন করেছে যা রাজ্যের সংবাদ জগতের ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই গর্বের বিষয়। রাজ্যের সাংবাদিকদের গুণগতমান আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত সংবাদমাধ্যম উৎকর্ষতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করে তারা দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাই বর্তমান প্রযুক্তির যুগে সাংবাদিকসহ সকলকে আপ টু ডেট থাকা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস-এর সাধারণ সম্পাদক শানিত দেবরায় বলেন, সমাজের প্রতি সংবাদমাধ্যমের এক বিরাট দায়িত্ব রয়েছে। তাই নানা অভাব-অভিযোগ নিয়েও সাংবাদিকরা তাদের দৈনন্দিন কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মাধ্যমে রাজ্যের সাপ্তাহিক পত্রিকা ও লিটল ম্যাগাজিনগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস-এর সহ সভাপতি তথা বরিষ্ঠ সাংবাদিক শেখর দত্ত বলেন, রাজ্যের সংবাদ জগৎ মূলত সরকারি বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভরশীল। তাই নিয়ম নীতি অনুসারে বিজ্ঞাপন প্রদান করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের আরও আন্তরিক উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি রাজ্যের সাংবাদিকদের গুণগত উৎকর্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে রাজ্য সরকার যে আন্তরিক উদ্যোগ নিয়েছে তা যেন অব্যাহত থাকে। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টসের সম্পাদক বিশ্বেন্দু ভট্টাচার্য।