শাক্ দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা প্রকাশ্যে আসতে দেখে বাধা দিতে সিভিল পোষাকে মাঠে নামে রাজেশ দেব নামে এক ফরেস্ট রেঞ্জার।ঘটনা বৃহস্পতিবার দুপুরে সিপাহীজলা চিড়িয়াখানায়।রাজ্য বনদপ্তরের গর্ব সিপাহীজলা চিড়িয়াখানাকে ধূলোয় মিশিয়ে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে বন দপ্তরের একাংশ আধিকারিক সহ বনকর্মীরা।সরকারি টাকার পুরো আদ্যশ্রাদ্ধ হচ্ছে সিপাহীজলা চিড়িয়াখানায়।সারা বছর কোন কাজ না হলেও জি-২০ দেশের প্রতিনিধি দল আগামী ৪ এপ্রিল চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে আসছেন বলে খবর।যাকে কেন্দ্র করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের রাতের ঘুম উড়ে গেছে।তড়িঘড়ি শুরু করা হয়েছে রাস্তার দু-ধার পরিষ্কারের কাজ।প্রবেশদ্বারের মূল সড়কে তৈরি হওয়া অসংখ্য গর্তে দেওয়া হচ্ছে লেপ দেওয়ার কাজ।রাস্তার দু’ধারে কোথাও ডাস্টবিন চোখে না পড়লেও নতুন করে বসানো হচ্ছে আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলার বার্তা সহ প্লাস্টিক ফ্রি জোনের বার্তাসহ সুসজ্জিত সাইনবোর্ড।রাস্তার দুপাশের গাছগুলিকে রঙ করতে গিয়ে মৃত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলিকেও বাদ দেয়া হচ্ছে না,যা দেখে পর্যটকদের মুখে হাসির রুল পড়েছে।একসময়ে রাজ্যের গর্ব সিপাহীজলা চিড়িয়াখানায় এক শৃঙ্গ গন্ডার,নীলগাই ও সারস পাখির মত অসংখ্য লুপ্তপ্রায় প্রাণীর উপস্থিতিতে সর্বদা প্রাণ চঞ্চল ছিল সিপাহীজলা চিড়িয়াখানা।বর্তমানে যার অনেক কিছুই অনুপস্থিত।আর যেগুলিই আছে সেগুলি জীবন সংগ্রামের বেঁচে থাকার যুদ্ধে নিত্যদিনের লড়াই করে চলছে।চিড়িয়াখানার প্রত্যেকটি জীবজন্তুুর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ,রাজ্যের দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা চিড়িয়াখানায় এসে এমনটাই অভিযোগ করেন।ফলে জি-টুয়েন্টি দেশের প্রতিনিধিদের আগমনকে কেন্দ্র করে সিপাহীজলা চিড়িয়াখানায় যে চরম ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে মোটেই অভ্যস্ত নন পর্যটকরা।তাদের অভিযোগ প্রতিবারের মতো এবারও জি-টুয়েন্টি দেশের প্রতিনিধিদের সেই মেঘলা চিতাকে দেখিয়ে দিয়েই বাহবা কুড়ানোর চেষ্টা করা হবে।আর এভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে সিপাহীজলা চিড়িয়াখানার গেট বন্ধ হতেও আর বেশি দিন লাগবে না বলে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন পর্যটকরা।