২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে কমলাসাগরে বিজেপি জয়ের অন্যতম কান্ডারী তথা মন্ডল যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি বিকাশ সাহার উ্যদোগে পুনরায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে এক জায়গায় এল পুরো মন্ডল।২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের পর সোমবার এই প্রথম কাজারিয়া কমিউনিটি হল ঘরে সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে মন্ডলের পুরো কমিটি,সাতটি মোর্চার সকল সদস্য এবং আসন্ন নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী সকল প্রার্থীদের নিয়ে।সোমবার প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই সাংগঠনিক বৈঠক।কমলাসাগরের সব কয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেও জেলা পরিষদের সাতটি আসনেই বিরোধীরা প্রার্থী দেওয়ায় আগামী ৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন।এরই মধ্যে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী বাছাই এর ক্ষেত্রে বিধায়িকার সাথে প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি সুবীর চৌধুরীর পদত্যাগের ফলে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।উক্ত পরিস্থিতিতে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তড়িঘড়ি ভারপ্রাপ্ত মন্ডল সভাপতি হিসাবে চিত্ত দেবনাথকে নির্বাচিত করায় সোমবার এই সাংগঠনিক বৈঠকের মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ায় ছিল বৈঠকের অন্যতম উদ্দেশ্য।এ দিনের এই বৈঠকে প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি সুবীর চৌধুরী ছাড়া মন্ডল কমিটির ত্রিশ জন সদস্য,৫০টি বুথের বুথ প্রেসিডেন্ট এবং শক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জ,৭ টি মোর্চার (এসটি,এসসি,ওবিসি, মাইনোরিটি,যুব মোর্চা,মহিলা মোর্চা,কিষাণ মোর্চার সকল সদস্য,সদস্যা)জেলা পরিষদ নির্বাচনের ৪ জন প্রার্থী,পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সকল প্রার্থী সহ মোট ৪৫০ জন দলীয় কার্যকর্তা উপস্থিত ছিল এদিনের এই বৈঠকে।দীর্ঘ সময় পর কমলাসাগর বিধানসভার সকল দলীয় কার্যকর্তাদের নিয়ে এত বড় পরিসরে সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় দলীয় কার্যকর্তারা বেশ উৎফুল্ল।বলতে গেলে অতীতের ইতিহাস ঘাটলে যে চিত্র পাওয়া যায় তাতে দেখা গেছে প্রত্যেকটা নির্বাচনের আগেই সব মতবিরোধ ভুলে গিয়ে দলীয় কার্যকর্তাদের উপযুক্ত সম্মান দিয়ে নির্বাচনে যাতে দল ভাল ফলাফল করতে পারে সেই বার্তা দেওয়া হয়।কিন্তু নির্বাচনের ভোট বিতরণী পেরিয়ে গেলে দলীয় কার্যকর্তারা অচিরেই অবহেলার শিকার হয়ে ওঠে।ফলে আগামীদিন গুলিতেও কি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় কিনা সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।