সেকেরকোট বিদ্যুৎ অফিসের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক সমস্যায় এক প্রকার জেরবার সিনিয়র ম্যানেজার।আর গ্রাহকদের একটা অংশ মূল সমস্যা না বুঝে বারবার অভিযোগের কাঠগড়ায় দাড় করাচ্ছে অফিসের সিনিয়র ম্যানেজারকে।ঘন ঘন বিদ্যুৎ গোলযোগের মূল কারণ জানতে গিয়ে দেখা গেছে বহু পুরনো গকুলনগরের ৬৬/১১ কেভি সাবস্টেশন এই বিশাল চাপ নিতে অক্ষম।আর এই বর্তমান পরিস্থিতির কথা চিন্তা করেই এর বিপরীত পাশে ১৩২ কেভি সাব স্টেশন তৈরির টেন্ডার করা হয়েছে কয়েক বছর আগে।যার নির্মাণ কাজের প্রায় ৯০ শতাংশই শেষের পথে।কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে এই সাব স্টেশনটি বিদ্যুৎ দপ্তরের কাছে হ্যান্ড ওভার করা হয়নি।যার ফলে এই পুরনো সাব স্টেশনটি এত বেশি গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বোঝা বইতে প্রায়শই অক্ষমতা প্রকাশ করায় সেকেরকোট সাব স্টেশনের অধীন বিভিন্ন এলাকায় প্রায়শই অন্ধকার নেমে আসছে।গকুলনগরে নির্মীয়মান এই ১৩২ কেভি সাব স্টেশনটি চালু হয়ে গেলে কমলাসাগর, বিশালগড় গোলাঘাটি, দূর্গানগর এবং হসপিটাল চৌমুহনী সহ মোট পাঁচটি ৩৩/১১ কেভি সাব স্টেশনে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা সম্ভব হবে।ফলে হসপিটাল চৌমুহনীর সাব-স্টেশনটি অপারেশনাল হয়ে গেলে ফুলতলী, চাম্পামুড়া, কাঞ্চনমালা ও একটি মেইন ব্রেকারের মাধ্যমে প্রায় ৮৫০০ গ্রাহকদের ঘরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছানো যাবে।এতে করে একটি ব্রেকারে সমস্যা হলে পুরো এলাকায় অন্ধকার নেমে আসবে না।বাকি এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা পুরোপুরি সচল থাকবে,যা বর্তমানে সম্ভব হচ্ছে না।তাছাড়া সেকেরকোট বিদ্যুৎ অফিসের আওতাধীন গকুলনগর,রাস্তারমাথা, চাম্পামুড়া, কাঞ্চনমালার এডিসি ভিলেজ সহ,মতিনগর, রায়েরমুড়া, ব্রজেন্দ্রনগর সহ বর্ডার পর্যন্ত মোট ৮০ কিলোমিটার ১১ কেভি লাইন রয়েছে যা প্রায় ৫০ বছরের পুরনো পরিবাহী তার।দীর্ঘদিন ধরেই এই বিদ্যুৎ পরিবাহী তারগুলি ছিড়ে রাস্তায় পড়ে এবং বিভিন্ন দুর্ঘটনার খবর সামনে আসে।যদিও বর্তমানে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় পুরনো পরিবাহী তারগুলির পরিবর্তে নতুন কেবল বসানোর কাজ চলছে কিন্তু তাও খুব মন্থর গতিতে।