মঙ্গলবার বিশালগড় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি।যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এনএলএফটি জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে জেল পুলিশ কতৃপক্ষ।সূত্রের খবর স্বর্ণকুমার ত্রিপুরা নামে এক সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।এ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ।ঘটনার খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আসে সিপাহীজলার জেলা শাসক নাগেশ কুমার এবং পুলিশ সুপার বিজে রেড্ডি।তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংশোধনাগারের আধিকারিকদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন।খবর নিয়ে জানা গেছে এই স্বর্ণকুমার ত্রিপুরা এনএলএফটির একজন কুখ্যাত সক্রিয় জঙ্গি।এর আগে ২০১৬ সালে একবার কুড়ি ফুট উচু কংক্রিটের বাউন্ডারি ওয়াল টপকে পালিয়ে গিয়েছিল সে।দ্বিতীয়বার ২০২২ সালে কাঞ্চনপুর সাব জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার রেকর্ড তার নামে।পরে বিধানসভা নির্বাচনের কিছু দিন আগে আবার ধরাও পড়ে সে।তখনই তাকে আবার কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নিয়ে আসা হয়েছিল।স্বর্ন কুমার ত্রিপুরা বিগত ১৬ বছর ধরে জেল খাটছে।এখনো রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে বহুু মামলার শুনানি চলছে।এমন একটা কুখ্যাত অপরাধীর উপর যেখানে জেল কতৃপক্ষের বিশেষ নজরদারি রাখা দরকার।সে জায়গায় রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কতৃপক্ষ কোন নজর ই দেয়নি।অন্য পাঁচটা কয়েদির মতো তাকে রাখা হয়েছিল সংশোধনাগারে।যার ফলে নিরাপত্তা বেষ্টনীকে খুব অনায়াসেই ভেদ করতে সক্ষম হয়েছে কুখ্যাত জঙ্গি।জানা গেছে বর্তমানে কর্মী স্বল্পতায় ভূগছে রাজ্যের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার।বিগত ৬ বছর যাবৎ সংশোধনাগারে নেই সুপারিন্টেন্ডেন্ট,ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট।তিন জন জেলার থাকার কথা।আছে মাএ একজন। তিনিই সর্বেসর্বা।বিশালগড় মহকুমা শাসক রয়েছে জেল সুপারের দায়িত্বে।সাব জেলার, ওয়ার্ডেন,জেল রক্ষীর মোট ৮০টি পদ খালি পড়ে আছে।মাত্র ২০ শতাংশ কর্মী দিয়ে চলছে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার।ফলে সংশোধনাগারের ভেতর বেআইনি কার্যকলাপ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা বলে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর।সরকার সবকিছু জেনেশুনেও চুপ বলে অভিযোগ।