বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেবের আহবানে ডাকা পর্যালোচনা বৈঠকে বিভিন্ন দপ্তরের বেহাল চিত্র দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে ওঠে বিধায়কের।বৃহস্পতিবার বিকেলে সিপাহীজলা জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে ডাকা পর্যালোচনা বৈঠকে গ্রাম উন্নয়ন,এগ্রিকালচার,সেরিকালচার,ডিডব্লিউএস ও পূর্ত দফতরের মত বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের পাশাপাশি পঞ্চায়েত প্রধান এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করেন।পর্যালোচনা বৈঠকে বিভিন্ন দপ্তরের যে চিত্র উঠে এসেছে তা একপ্রকার ভয়ংকর।উদাহরণ স্বরূপ কেন্দ্রীয় সরকারের জল জীবন মিশনের অধীন সারা ভারতবর্ষের প্রত্যেকের ঘরে পানীয় জল পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে এ বছরের ডিসেম্বর এবং সারা রাজ্যে যেখানে এই প্রকল্পের সাফল্য ৭০ শতাংশের কাছাকাছি সেই জায়গায় বিশালগড়ে তা মাএ ৪৩ শতাংশ,অর্থাৎ ২৫৯৯৪টি পরিবারের মধ্যে মাত্র ১১৬০১টি পরিবারে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে,যা ত্রিপুরা রাজ্যে সর্বনিম্ন।আরও আশ্চর্যের বিষয় হল প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ১.১২ গ্যালন ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি বর্তমানে কারোরই কোন কাজে আসছে না,অথচ এর নির্মাণ কাজ শেষ
অনেক আগেই।অন্যদিকে বিশালগড় সাধারণত কৃষি প্রধান অঞ্চল হলেও কৃষি দপ্তরের অবস্থা আরও বেহাল।কাগজ পত্রে কৃষি দপ্তরের যতগুলো প্রকল্প দেখানো হয়েছে বাস্তবে তার কোন অস্তিত্বই নেই অর্থাৎ এগুলি কৃষকদের কোন কাজেই আসছে না।গত পাঁচ বছরে যেখানে কৃষকদের আয় দেড়গুণ হওয়ার কথা সে জায়গায় কৃষকরা উল্টো ঋণের বোঝায় জর্জরিত।বিশালগড় মহকুমার বিশ্রামগঞ্জে একটি মিনি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করা হয়েছিল কৃষকদের সাব্জি সংরক্ষিত রাখার জন্য,অথচ কোল্ড স্টোরের নির্মাণ কাজ পাঁচ বছর আগে সম্পন্ন হওয়া সত্বেও তা এখনো কৃষকদের কোন কাজে আসনি।অন্যদিকে সেরিকালচারের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের তথ্যে রীতিমতো হাসির রুল পড়ে যায় গোটা কনফারেন্স হলে।তাদের তথ্য অনুযায়ী প্রভুরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন মোট ৭০ টি তুঁত বাগান আছে অথচ বাস্তবে তার কোন অস্তিত্বই নেই বলে জানান খোদ বিশালগড়ের বিধায়ক।ফলে আগামীকাল প্রভুরামপুর এলাকায় পঞ্চায়েত প্রধান,মহকুমা শাসক এবং বিডিওকে সঙ্গে নিয়ে সরজমিনে পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।মোট কথা বিশালগড়ের রাজনৈতিক অঙ্গনকে যেভাবে চষে বেরিয়েছেন তেমনি এবার প্রশাসনকেও ঢেলে সাজানোর জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বিধায়ক সুশান্ত দেব।এদিনের এই পর্যালোচনা বৈঠকে বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ডাঃ বিশাল কুমার,মহকুমা শাসক বিনয় ভূষণ দাস,এগ্রিকালচার সুপারিনটেন্ট প্রিয়তোষ সরকার,বিশালগড়ের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক,পঞ্চায়েত প্রধান সহ নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা।