- রবিবার বন্ধের দিনে সিপাহীজলা নৌকা ঘাটে প্যাটেল বোট বিকল হয়ে যাওয়ায় বিপাকে চার পর্যটক।নৌকাঘাটের দায়িত্ব প্রাপ্তদের কর্তব্য গাফিলতের অভিযোগ তোলা হয়েছে পর্যটকদের তরফে।খবর নিয়ে জানা গেছে রবিবার ছুটির দিনে চারজন পর্যটক সিপাহীজলা নৌকাঘাটে নৌকা বোটিং পরিষেবার আনন্দ নিতে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী টিকিট কেটে তারা একটি প্যাটেল বোট নিয়ে জলাশয়ের মাঝে যান।হঠাৎ প্যাটেল বোটের যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ায় প্যাটেল বোট আর সামনের দিকে এগোচ্ছিল না।এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ দমকা হাওয়া শুরু হওয়ায় তারা বাতাসের গতিবেগের সাথে পাল্লা দিতে না পারায় প্যাটেল বোট সহ চারজন পর্যটক চলে যায় জলাশয়ের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে।ভয়ে পর্যটকরা চিৎকার চেঁচামেচি করলেও তাদের কোন আওয়াজ শুনতে পায়নি নৌকাঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত বন কর্মীরা।পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তারা খুবই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে বিশালগড় অগ্নি নির্বাপক দপ্তরে খবর পাঠায়।খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীদের দেখে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয় সিপাহীজলা নৌকা ঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্তদের।তারা মেশিন চালিত একটি স্পিডবোট ব্যবহার করে দ্রুত জলাশয়ের দক্ষিণ প্রান্তে আটকে থাকা পর্যটকদের কাছে পৌঁছতে সক্ষম হন।ফায়ার কর্মীরা তাদের সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে নৌকাঘাটে পৌঁছালে পর্যটকরা দায়িত্বপ্রাপ্ত বন কর্মীদের বিরুদ্ধে কর্তব্য গাফিলতির অভিযোগ তুলেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে।বোটিং পরিষেবায় লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক সত্ত্বেও নৌকাঘাটের বনকর্মীরা পর্যটকদের প্রায়শই লাইফ জ্যাকেট না দিয়েই বোটিং এ পাঠিয়ে দেয়।যারা সাঁতার দিতে অক্ষম তাদের এই বোটিং লাইভ জ্যাকেট ছাড়া কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।তা সত্ত্বেও পর্যটকরা লাইফ জ্যাকেট পড়তে চায় না অভিযোগ তুলে নিজেদের দায় অস্বীকার করতে চায় দায়িত্বপ্রাপ্তরা।ফলে রবিবারের এই ঘটনা যেকোনো সময় আরও বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারতো বলে পর্যটকদের অভিযোগ।তাই আগামী দিনে সিপাহীজলা কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়ে যান ভুক্তভোগী পর্যটকরা।