মধুপুর থানার ওসি ঘনিষ্ঠ এক পুলিশ অফিসারের বারবারন্তে রীতিমত অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে যান চালকরা।নিত্যদিন হাজার হাজার পুন্যার্থী কমলাসাগর কালীমায়ের মন্দিরে আসে পূজো দিতে।কিন্তু যানবাহনের কাগজপত্র চেকিং এর নামে এই গুণধর পুলিশ অফিসারের বার বারন্তে পুণ্যার্থীরা রীতিমতো অতিষ্ঠ।বাদ যাচ্ছে না অত্র এলাকার পরিচিত সাধারণ মানুষজনও।সোমবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে কমলাসাগর মন্দির সংলগ্ন এলাকায়।খবর নিয়ে জানা গেছে মধুপুরের বাসিন্দা সাগর বর্ধন তিন বন্ধুকে নিয়ে তার নিজস্ব TR01BW0530 নম্বরের মারুতি সুইফট গাড়ি নিয়ে মন্দির পরিদর্শন শেষে বট গাছের নিচে দাঁড়িয়ে সময় কাটানোর সময় মধুপুর থানার এক পুলিশ অফিসার ও ওসি কমলাসাগর পেট্রোলিং শেষে থানায় ফেরার সময় সাগর বর্ধনসহ তার তিন বন্ধু সমেত মারুতি গাড়িটি থানায় তুলে নিয়ে আসে।এরপর তাদের মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে মেডিকেল চেকআপও করানো হয়।গাড়ির কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকা এবং মদ্যপান না করা সত্ত্বেও কেন তাদের থানায় তুলে নিয়ে আনা হল তার কোন স্পষ্ট জবাব পাওয়া যায়নি।তবে ওই গুণধর পুলিশ অফিসার তাদের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা ফাইন হিসাবে দাবি করে বলে অভিযোগ।তাছাড়া গাড়িটি থানায় নিয়ে আসার পর কেন গাড়িটিকে সুইচ অন রেখে ব্যাটারি ডাউন করে দেওয়া হয়েছে তার কোন যোগ্য জবাব পাওয়া যায়নি।পরে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের নজরে আসলে মধুপুর থানার ওসি দেবজিৎ চ্যাটার্জির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান গাড়ি চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ওই ফাইন মানি দাবি করা হয়েছে সরকারি নিয়ম নীতি মেনেই।তবে মধুপুর কমলাসাগর সড়কে পুলিশের দ্বারা সাধারণ মানুষের হয়রানি নতুন কিছু নয়।