ফের সংবাদের শিরোনামে মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র।রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে যেখানে অভিযোগের অন্ত নেই,সেই জায়গায় একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিষেবা কি হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।সোমবার মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সবিস দেববর্মাকে জ্বরের জন্য এজিথ্রোমাইসিন নামক একটি এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করেন ডাক্তার।আশ্চর্যের বিষয় হল ঔষধের এক্সপায়ারি ডেইট অনেক আগে চলে গেলেও কারোর কোন নজর ছিল না ঐদিকে।ফলে সিস্টার ইনচার্জও মনের আনন্দে ওই ঔষধ দিয়ে দেন রোগীকে।ভ্যাগিস রোগীর আত্মীয় ওই ওষুধটি সহ প্রেসক্রিপশনটি নিয়ে দোকানে যান অন্য একটি ঔষধ কিনে আনার জন্য।তখনই বিষয়টি নজরে আসে ওষুধের দোকান মালিকের।এরই মধ্যে রোগীও ঐ ঔষধ সহ বাড়ি চলে যান।কিছুক্ষণ পরে ঘটনাটি সাংবাদিকদের নজরে আসার পরে নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ইনচার্জ পারমিতা বিশ্বাস ওই এলাকার মাল্টিপারপাস ওয়ার্কার বিরজিৎ সেনকে নির্দেশ দেন ওষুধটি তুলে আনার জন্য।সাংবাদিকরা ওই রোগীর বাড়িতে পৌঁছার আগেই এমপিডব্লিউ ওয়ার্কার ওই এক্সপায়ারি ওষুধটি নিয়ে চলে আসে।পরে ঘটনার বিস্তারিত জানতে মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এমওআইসি পারমিতা বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানান অসুস্থতার জন্য মঙ্গলবার থেকে তিনি তিনদিনের ছুটিতে।ফলে বোঝাই যাচ্ছে উনার বক্তব্য কি।তাই সাংবাদিকদের বাধ্য হয়ে ছুটতে হয়েছে মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতির্ময় দাসের কাছে।তিনি মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা চিকিৎসা পরিষেবায় আমূল পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা সকলের।উনার বক্তব্য অনুযায়ী এক দু’টি মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ খেলে রোগীর তেমন কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।তবে যে স্বাস্থ্যকর্মী ভুলটি করেছে আগামীদিনে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির না হয় তার জন্য তিনি হাসপাতালের কর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছেন।পাশাপাশি সিস্টার ইনচার্জকে ইতিমধ্যেই শোকজ নোটিশ করে জবাব চাওয়া হয়েছে বলে জানান সাংবাদিকদের।