সামাজিক নিষ্ঠুরতার এক করুণ চিত্র উঠে এল পাণ্ডবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দীনদয়াল চৌমুহনী ৬ নং ওয়ার্ডের দাসপাড়া এলাকায়।খবর নিয়ে জানা গেছে রাখাল দাস সামাজিক রীতিনীতি মেনে তার একমাত্র মেয়ে সীমা দাসকে বিয়ে দিয়েছিল মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কড়ুইবন রাণীরগাঁও এলাকার বাসিন্দা সুমন ভৌমিকের সাথে।দীর্ঘ ১৫ বছরের সাংসারিক জীবনে তাদের দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে।যাদের মধ্যে এক জনের বয়স ১৪ ও অপরজনের ৯ বছর বয়স।উক্ত পরিস্থিতিতে গত এক সপ্তাহ আগে সীমা দাস অপর এক যুবকের সাথে বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কের দৌলতে দুই কন্যা সন্তানকে বাড়িতে রেখেই চম্পট দেয় পর পুরুষের সাথে।ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়ে পাণ্ডবপুর দাসপাড়া এলাকার বৃদ্ধ দাদু ও দিদা দুই নাতনিকে নিয়ে আসে তাদের বাড়িতে।কিন্তু সংসার প্রতিপালন করা খুবই কষ্ট হয়ে উঠছিল তাদের পক্ষে।খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে পান্ডবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান,উপ- প্রধানসহ স্থানীয়রা মিলে কিছু আর্থিক সাহায্য করেন পরিবারটিকে।অন্যদিকে রাজ্যের চাইল্ড লাইন ওয়েলফেয়ার কমিটির যেন দুটি শিশুকে হোমে রেখে তাদের পড়াশোনা ও ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করে তারও দাবি জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে।পরে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট অস্মিতা বণিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে ফোনে জানান বর্তমানে শিশু দুটিকে রেসকিউ করে আপাতত মেলারমাঠের একটি হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।