বুধবার বিকেলে ভয়াবহ ত্রি-মুখী যান দুর্ঘটনা ভয়াবহ অতীতের কাহিনী ভেসে উঠল স্থানীয়দের চোখের সামনে।২০০৮ সালে একই জায়গায় তিনটি কমান্ডার গাড়ির দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল যদিও বুধবারের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা অতীতের মত না হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি।তবে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা কোন অংশেই কম ছিল না অতীতের তুলনায়।খবর নিয়ে জানা গেছে রাস্তার মাথার দিক থেকে TR01AL0727 নম্বরের টাটা ইন্ডিগো গাড়ি আগরতলার দিকে যাচ্ছিল।রাস্তার মাথা বন্ধন ব্যাংক সংলগ্ন ব্রিজ পেরিয়ে কালী মন্দির এলাকায় পৌঁছতেই অপর দিক থেকে TR01N1940 নম্বরের বোলেরো পিকআপ ট্রাকের সাথে মারুতি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।এতে মারুতি গাড়িটির অভিমুখ সম্পূর্ণ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে উদয়পুরের মুখোমুখি হয়ে পড়ে।অন্যদিকে এই দুটি গাড়ির সংঘর্ষের মুহূর্তেই TR03D2139 নম্বরের উদয়পুরের একটি ইলেকট্রিক যাত্রীবাহী অটো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে রাস্তার উপর উল্টে যায়।তবে এদিন স্থানীয় লোকজনদের ভূমিকা বেশ ছিল উল্লেখযোগ্য।তারা অত্যন্ত দ্রুততার সাথে উল্টে যাওয়া গাড়ির মধ্যে আটকে পড়া আহত লোকজনদের উদ্ধার করে দ্রুত খবর পাঠান বিশালগড় অগ্নি নির্বাপক দপ্তরে।তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে কঠোর আপত্তি জানান।তাদের অভিযোগ বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে যান দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রোগীদের নিয়ে যাওয়া মানে সময় অপচয় করা।ফলে স্থানীয় লোকজনদের আক্রোশের মুখে বিশালগড় অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা দুজন মহিলা ও দুজন পুরুষকে উদ্ধার করে হাঁপানিয়া ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন।তবে স্থানীয়রা জানান অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা আসার আগেই টাটা মারুতি গাড়িতে থাকা আরও তিন জনকে অন্য প্রাইভেট গাড়ি করে হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন।তবে বিশালগড় ও বিশ্রামগঞ্জ থানার বিস্তীর্ণ এলাকার জাতীয় সড়কে একের পর এক যান দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে এবং এই যান দুর্ঘটনার ভয়াবহতা কতটুকু তা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে সংবাদও প্রকাশিত হচ্ছে।রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত এই ক্রমবর্ধমান যান দুর্ঘটনার বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেন।কিন্তু তা সত্ত্বেও সিপাহীজলা জেলা ট্রাফিক পুলিশ ফাইন মানি আদায় করা ছাড়া যান দুর্ঘটনা রোধে কিংবা যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই।ফলে পথ চলতি সাধারণ মানুষ আছে ভগবান ভরসায়।আর কত যান দুর্ঘটনা হওয়ার অপেক্ষায় আছে রাজ্যের তথা সিপাহীজলা জেলা ট্রাফিক পুলিশ সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।