মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা শুক্রবার রাজ্যে ডেঙ্গু জ্বরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এক উচ্চ-পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকের পৌরহিত্য করেন।
মন্ত্রী বলেন ,গত কয়েক দিনে ধনপুরসহ রাজ্যের কিছু জায়গায় ডেঙ্গু জ্বরের খবর পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য দপ্তর বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ডেঙ্গুর প্রভাব সংক্রান্ত সব দিক পর্যালোচনা করতে শুক্রবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য অধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে।”
এদিনের এই বৈঠকের পর, সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব ড. দেবাশীষ বসু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ডেঙ্গু সম্পর্কিত বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত ও পর্যলোচনা করেছেন। এই বৈঠকে মুখ্য সচিব জে কে সিনহাও উপস্থিত ছিলেন।
ড.বসু আরো বলেন, গত ১৩ জুলাই ধনপুর থেকে প্রথম ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে রিপোর্ট করা হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে এর সংক্রমন রাজ্যে হয়েছে। এরপর থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। স্পেশালিস্ট ডাক্তারদের পাঠানো হয়েছে, ধনপুরে প্যারামেডিকস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা বিশেষ ভাবে নিযুক্ত রয়েছেন। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের দেখাশোনা করার জন্য একজন গাইনোকোলজিস্টকে নিযুক্ত করা হয়েছে। গত ১আগস্ট পর্যন্ত আনুমানিক ১৫৭জন ডেঙ্গু আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছে। গত দুই দিনে ৪১জনকে আক্রান্ত পাওয়া রিপোর্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫জন রোগীকে জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এর মধ্যে একজন রোগী আইসিইউতে রয়েছেন।”
ডা. বসু আরও জানান যে, জিবি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট এবং নিজে রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলছেন ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
সেই সঙ্গে তিনি জানান বর্তমানে ১৫০০টিরও বেশি ইএলআইএসএ কিট সহ পর্যাপ্ত পরিমান চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে৷ আরও ইএলআইএসএ কিট আনার জন্য এন এইচ এম থেকে ২লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলিও যথেষ্ট পরিমানে রছেন৷
তিনি আরও বলেছেন যে স্বাস্থ্য দপ্তর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ডেঙ্গু রোধে, যেমন ব্যাপক ধোয়া এবং জমা জল পরিষ্কার করার জন্য আগামী রবিবারকে শুষ্ক দিবস হিসাবে ঘোষণা করা। ধনপুরে স্বাস্থ্য কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।