প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ মিশনের দিশায় বুধবার থেকে ত্রিপুরায় শুরু হলো ই-ক্যাবিনেট। এদিন ক্যাপিটাল কমপ্লেক্সস্থিত সচিবালয়ে ই-ক্যাবিনেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা মানিক সাহা । এর পাশাপাশি এই নতুন ব্যবস্থায় মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক করা হয় এদিন ।
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা জানান, ত্রিপুরা দেশের মধ্যে চতুর্থ রাজ্য যেখানে এই ই-ক্যাবিনেট সুবিধা চালু হয়েছে। এই নতুন পদক্ষেপ ই-গভর্নেন্সের উদ্যোগকে আরও সুদৃঢ় করতে সহায়ক ভূমিকা নেবে। ত্রিপুরা সরকার সমস্ত দপ্তরে ই-অফিস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এই কাজ মিশন মুডে এগিয়ে চলেছে। পরিবেশবান্ধব এবং কাগজবিহীন পরিমন্ডল সুনিশ্চিত করতে ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বর্তমান রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, উত্তরাখন্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং অরুণাচল প্রদেশে ইতিমধ্যে ই-ক্যাবিনেট পদ্ধতি চালু হয়েছে। ত্রিপুরা ই-ক্যাবিনেট ব্যবস্থা গ্রহণকারী চতুর্থ রাজ্য হয়ে উঠেছে। দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরা এখন চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। উত্তরাখন্ড রাজ্যের ই-ক্যাবিনেট ব্যবস্থার অনুকরণে রাজ্যে ই-ক্যাবিনেট ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ই-ক্যাবিনেট ব্যবস্থা চালু রাজ্যের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বর্তমানে আমাদের রাজ্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ডিজিটাল ভারত প্রচার অভিযানকে সফল করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার সারা রাজ্যে ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সম্ভাব্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা সম্প্রসারণের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। ডিজিটাইজেশনের অংশ হিসেবে রাজ্য সরকার প্রতিটি দপ্তরে ই-অফিস ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কর্মসূচি রূপায়ণে প্রতিটি দপ্তর মিশন মুডে কাজ করছে। ইতিমধ্যেই ৯৪টি দপ্তর/সংস্থার মধ্যে ৪১টি দপ্তর ই-অফিস পদ্ধতি ১০০ শতাংশ কার্যকরী করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান যুগ ডিজিটাইজেশনের যুগ। রাজ্য সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশন করার ফলে আগামী প্রজন্মের কাছে সবকিছুই সহজ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে এসমস্ত কর্মসূচি এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনেও সহায়ক ভূমিকা নেবে।
ই-অফিস সুবিধা ১০০ শতাংশ কার্যকর করেছে এমন দপ্তরগুলিকে এদিন সচিবালয়ে সম্মাননা প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্মাননাস্বরূপ প্রতিটি দপ্তরের অধিকর্তার হাতে শংসাপত্র তুলে দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সকল সদস্যগণ সহ মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সচিব, সচিব ও অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ।