কোন এক অদৃশ্য শক্তি বলে সিসিএস কন্ডাক্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ হয় না বিশালগড় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে।গতকাল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি পলাতক কাণ্ডে মহকুমা শাসক এতটাই সিরিয়াস ছিল যে ষড়যন্ত্র করার দায়ে মহকুমা শাসক খোদ এফআইআর করেছিলেন দুজন কারা রক্ষীর বিরুদ্ধে।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এমন একজন হার্ডকোর আসামির অতীতে জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও জেলার বিষয়টিকে অত্যন্ত হালকা ভাবেই নেন।যার ফলস্বরূপ গতকালের এই ঘটনা।অতীতে কারা দপ্তরের রেকর্ড ঘেঁটে যা দেখা গেছে ওই ঘটনাগুলির সাথে গতকালের ঘটনার কোন মিল পাওয়া যাচ্ছে না।২০১৬ সালের একুশ অক্টোবর স্বর্ণকুমার ত্রিপুরা বিশালগড় কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার মামলায় বরখাস্ত হয়েছিল তৎকালীন কারা সুপার সন্তোষ বাহাদুর,কারারক্ষী অভিরাম মজুমদার ও আশু কুমার জমাতিয়া।২০১৯ সালের ২২ জুন সাব্রুম মহকুমা কারাগার থেকে একই আসামি স্বর্ণকুমার ত্রিপুরা পালিয়ে যাওয়ার মামলায় দেখা গেছে জেলের ইনচার্জ কাজল দেবকে বিভাগীয় তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি বরখাস্ত করা হয়েছিল সববর রবীন্দ্র ত্রিপুরা,বাসুদেব ভট্টাচার্য ও সুদীপ দে।২০২২ সালের ৩ মার্চ কাঞ্চনপুর কারাগার থেকে তিন উগ্রবাদী পালিয়ে যাওয়ার মামলায় বরখাস্ত হয়েছিল সাব জেলার রুটুয়া ডার্লং, কারা রক্ষী নতুন লোধ ও বিধান বর্ধন।কিন্তু স্রোতের বিপরীতে চলা বিশালগড় কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কুখ্যাত আসামি পলায়ন মামলার ক্ষেত্রে দেখা গেছে পুরোপুরি উল্টো চিত্র।এক অদৃশ্য শক্তি বলে তদন্তকারী টিম এই দুজন কারা রক্ষীকে আটক করেই উক্ত মামলার ইতি টানার পথে বলে খবর।বুধবার পুলিশের হাতে আটক দুই কারারক্ষীর মধ্যে মফিজ মিয়া গার্ড কমান্ডার এবং তপন রুপিনী হচ্ছে সেন্ট্রি।পুলিশি তদন্তে কেন্দ্রীয় কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেল পুলিশের কর্তব্য গাফিলতির চিত্র উঠে আসে।যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী স্বর্ণকুমার ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ভারতীয় দণ্ডবিধির 120(B)221 /224/225(A)109/130 ধারায় বিশালগড় থানা একটি মামলা গ্রহণ করে যার নম্বর BLG P.S Case No-28/2024।আর এই তদন্তের প্রথম ধাপেই গার্ড কমান্ডার মহম্মদ মফিজ মিয়া এবং সেন্ট্রি তপন রুপিনীকে বুধবার দুপুরে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।যতদূর খবর তদন্তের অগ্রগতি হলে আরও বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসার সম্ভাবনা প্রবল।পরে তাদের মেডিকেল চেকআপ শেষে পুলিশ রিমান্ডে চেয়ে দুজনকেই প্রেরণ করা হয়েছে বিশালগড় মহকুমা আদালতে।