বিধায়িকা অন্তরা সরকার দেব কমলাসাগর সোসাইটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় খুশির হাওয়া কমলাসাগরে।২০১৮ সালে রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর কমলাসাগর কালীমায়ের মন্দিরের উন্নয়ন নিয়ে সাধারণ মানুষের যা প্রত্যাশা ছিল তা এখনো পূরণ হয়নি।তৎকালীন রাজ্যের মহিলা নেতৃত্বদের মধ্যে অন্যতম মুখ প্রতিমা ভৌমিককে সোসাইটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছিল মায়ের মন্দিরকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে।কিন্তু তিনিও মাঝপথে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় সাধারণ মানুষ ও পুণ্যার্থীদের প্রত্যাশা অসম্পূর্ণই রয়ে গেল।তিনিও কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করায় উনার পক্ষেও আর আগের মত সময় দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছিল না।তার মধ্যে কেটে গেছে আরও একটি বছর।সম্প্রতি সিপাহীজলা জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে কমলাসাগর সোসাইটির চেয়ারম্যান পরিবর্তন নিয়ে প্রতিমা ভৌমিকের নেতৃত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বুধবার।সেখানে বিস্তৃত আলোচনার পথ কমলাসাগরের বিধায়িকা অন্তরা সরকারকে দেবকে সোসাইটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে।আর এই খবর দলীয় কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তেই সন্ধ্যায় বিধায়িকার বাড়িতে বীর জমাতে শুরু করেন কর্মী সমর্থকরা।তারা বিধায়িকার কাছে কমলাসাগর কালী মায়ের মন্দির প্রাঙ্গণকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানান।তিনিও যথারীতি কর্মী সমর্থকদের কাছে মায়ের মন্দিরকে ঢেলে সাজাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।বর্তমানে উনার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কমলাসাগর কালী মায়ের দিঘীটি কে দালালদের হাত থেকে মুক্ত করে ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরের আদলে দিঘির মাছ বিক্রি বন্ধ করা।পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে থাকা কুমিল্লা ভিউ টুরিস্ট লসটিকে কিভাবে পুনরায় চালু করা যায় পর্যটকদের সুবিধার্থে সেই লক্ষ্যে কাজ করা।ফলে চ্যালেঞ্জ অনেক বিধায়িকার সামনে।কতটুকু করতে পেরেছে তা সময়ই বলবে।