নেশা বিরোধী অভিযানে মামলার ইনভেস্টিগেশন অফিসারের দক্ষতা এবং নিরপেক্ষতা কতটা সহায়ক নেশা মুক্ত এিপুরা গঠনে তা আবারও প্রত্যক্ষ করা গেল একটি মামলার ক্ষেত্রে।২০২২ সালের ১৬ই ফেব্রয়ারি বিশালগড় এসডিপিও চৌমুহনি এলাকায় ভেহিকেল চেকিং এর সময় TR01BF0640 নম্বরের একটি সুইফট ডিজায়ার গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৭০ কেজি শুকনো গাঁজা সহ সোনামুড়া আনন্দপুর এলাকার কর্ণজিত দাস নামে এক নেশা কারবারীকে আটক করেছিল।এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সহ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং থানার ওসির উপস্থিতিতে উক্ত গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি বস্তা থেকে মোট ৭০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছিল পুলিশ।ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় কর্ণজিৎ দাসকে।বিশালগড় থানার পুলিশ অভিযুক্ত কর্ণজিৎ দাসের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় একটি মামলা গ্রহণ করে যার নম্বর BLG PS 08/2022।তখন মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় তৎকালীন বিশালগড় থানার সাব-ইন্সপেক্টর সঞ্জয় মজুমদারের হাতে।মামলা হাতে নিয়ে সঞ্জয় মজুমদার ১৮০ দিনের মধ্যে আদালতে মামলার চার্জশিট জমা করে এবং অভিযুক্তকে কাস্ট্রাডিয়াল ট্রায়ালের আবেদন জানায় আদালতে।আদালত আবেদন মঞ্জুর করে প্রায় এক বছর তিন মাস অভিযুক্তকে জেলে রেখে মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।১১ জন সাক্ষীর শুনানির পর সোমবার সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারপতি দেবাশীষ কর অভিযুক্ত কর্নজিত দাসকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে সাথে এক লক্ষ টাকাও জরিমানা করে অনাদায় আরও ছয় মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।অন্যান্য এনডিপিএস মামলায় আসামিকে জামিন পেয়ে যেতে দেখা গেলেও এই মামলার ইনভেস্টিগেশন অফিসারের তদন্ত রিপোর্ট এতটাই নিরপেক্ষ ছিল যে আসামি জামিনে বের হতে পারেনি।তার পুরো বিচার প্রক্রিয়া জেলে রেখেই সম্পন্ন করা হয়েছে।ফলে তরুণ পুলিশ অফিসার সঞ্জয় মজুমদার একটা উদাহরণ তৈরি করে গেল অন্যান্য পুলিশ অফিসারদের সামনে।