বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা প্রায় ছয় লক্ষ টাকার শাড়ি উদ্ধার করে বিএসএফের ১৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ান ও মধুপুর থানার পুলিশের যৌথ টিম।ঘটনার সোমবার সন্ধ্যায় মধুপুর থানাধীন হরিহরদোলার রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ডের একটি বাড়ি থেকে।ঘটনার বিবরনে জানা গেছে ১৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের হরিহরদোলা বিওপির জওয়ানদের কাছে আগাম খবর ছিল বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ শাড়ির কার্টুন এনে মজুদ করা হয়েছে একটি ঘরে।তখনই তারা মধুপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ২৫৮৯ টি দামি ব্র্যান্ডের পিওর সিল্ক শাড়ি উদ্ধার করা হয়।মধুপুর থানার ইনভেস্টিগেশন অফিসার পার্থ রিয়াং জানান মঙ্গলবার মাননীয় আদালতে একটি ফরওয়ার্ডিং পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকৃত শাড়ি গুলি অকশান নাকি কাস্টমসের হাতে তুলে দিতে।কোর্ট থেকে যে আদেশ দেওয়া হবে সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে প্রতিবারই বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা অবৈধ জিনিসপত্র মধুপুর থানা পেরিয়ে বর্ডার সংলগ্ন এলাকায় কেন ধরা পড়ছে?বর্ডারে পৌঁছার আগে কেন মধুপুর থানার পুলিশের হাতে এগুলো ধরা পড়ছে না?অভিযোগ মধুপুর থানার একাংশ পুলিশ অফিসারের যোগসাজসেই প্রতিদিন গাড়ি ভর্তি গাঁজা,গরু,ইয়াবা ট্যাবলেট,ব্রাউন সুগার,এসকফ, ফেন্সিডল, শব্দবাজি, কসমেটিক্স,চিনি,কাপড়ের মত নানা আইটেম নিরাপদে ও অবাধে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে দিনদুপুরেই মধুপুর বাজারের উপর দিয়ে পুলিশের সামনে।এক কথায় বিশালগড় থেকেও দশ গুণ বেশি পরিমাণে অবৈধ জিনিসপত্র বাংলাদেশে পাচার হয় মধুপুর থানার সামনে দিয়ে।