দূর্ঘটনাকে অন্যরূপ দিতে মধ্যরাত পর্যন্ত সড়ক অবরোধ সহ ব্যপক উত্তেজনা বিশালগড় থানাধীন চেলিখলা নাকা পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায়।অভিযোগ পাচার বানিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একাংশ পাচারকারী নাকা পয়েন্ট তুলে দেওয়ার জন্য অন্য পন্থা অবলম্বন করে চলছে।আন্তর্জাতিক অবৈধ পাচার চক্রের মৃগয়া ক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে বিশালগড় সহ তার আশপাশ এলাকা।বহিঃ রাজ্য থেকে রাজ্য হয়ে যত নেশা সামগ্রী বাংলাদেশে পাচার হয় তার সিংহভাগই সিপাহীজলা জেলার বিশালগড় হয়ে বক্সনগর এবং সোনামুড়ার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করা হয় বলে অভিযোগ।পুলিশ এই অভিযোগের উপর সিল-মোহর দিয়ে জেলার দুটি স্থান যথাক্রমে মেলাঘর এবং বিশালগড়ের চেলিখলা এলাকায় ২৪ ঘন্টার জন্য নাকা চেকিং পয়েন্ট বসিয়েছে।অভিযোগ যাদের গোপন রফা রয়েছে দিনরাত এই নাকা পয়েন্ট দিয়ে অবৈধ চিনি,শব্দবাজি সহ নেশা সামগ্রী বোঝাই গাড়ি নিয়ে দিব্বি চলাচল করতে তাদের কোনও অসুবিধা নেই।শনিবার রাতে বিশালগড় থানাধীন চড়িলাম কড়ইমুড়া এলাকার প্রদীপ নমঃ ও তার ভাই রাকেশ নমঃ হেলমেট ছাড়াই বাইকে চেপে মাণিক্যনগর থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়।নাকা পয়েন্টে তাদের CRPF জওয়ানরা থামার নির্দেশ দিলে তারা দ্রুতগতিতে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে চেলিখলা বাজারে শাসক দলের পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়ালে স্থানীয়রা দেখতে পায় তাদের নাক মুখ দিয়ে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছে।পরে স্থানীয়দের তৎপরতায় বিশালগড় অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে অাসে।কিন্তু ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহূর্তেই এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।স্থানীয় কিছু যুবক প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে।তাদের অভিযোগ নাকা পয়েন্টে চলছে জম্পেশ কামাই বাণিজ্য।তাই ইদানিং রাতে নাকা পয়েন্টে পুলিশ ডিউটি করতে খুব পছন্দ করে বলে খবর।অবৈধ পাচারের গাড়ি বাদ দিয়ে পুলিশ শুধুমাত্র স্থানীদের হেনস্থা করে বলে অভিযোগ করেন পথ অবরোধকারী যুবকরা।দুই যুবক বাইক নিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার পথে দূর্ঘটনার কবলে পরে।কিন্তু পরে এই দুর্ঘটনাকে অন্য ইস্যু বানিয়ে স্থানীয় কিছু উশৃংখল যুবক এসে নাকায় হামলা করে,রাস্তার উপর বসানো নাকার ট্রলি,পিচের ড্রাম সহ অন্যান্য সব কিছু রাস্তা থেকে উপড়ে ফেলে দেয়।কিছুক্ষন পথ অবরোধও করে তারা।পরে বিশাল সংখ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানান বিশালগড় থানার ওসি।