জেআরবিটি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করে ফায়দা নিতে চাইছে সিপিএম । বিরোধীদল ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছে ।যুব সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করতেই বামেদের এই প্রচেষ্টা তাদের । মঙ্গলবার বিজেপি রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন , শাসক দলের মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, জেআরবিটি গ্রুপ সি পদে মেধার ভিত্তিতে ১৯৮০ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে । বিষয়টি নিয়ে ধন্যবাদ জানানোর প্রয়োজন ছিল। তা না করে একসময়ের প্রধান বিরোধী দল বিভ্রান্তি ছড়ানোর পথে নেমে এসেছে। দুই ধাপে সাড়ে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় ছিলেন বামেরা । তারা নিজেদের জমানার কুশাসনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি । বামেদের অভিযোগ, অনেকেই নাকি ভুয়ো পিআরটিসি দিয়েছেন । তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শ্রী চক্রবর্তী বলেন, একটা ঘটনারও প্রমাণ দিতে পারেনি বিরোধীদল । প্রমাণ দিলে সরকার নিশ্চিতভাবেই ব্যবস্থা নিতে পারত। জেআরবিটি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দেরি করার প্রসঙ্গে বিজেপি মুখ্য মুখপত্র বাম জমানার জব ফর্ম এর কথা মনে করিয়ে দেন । তিনি বলেন, ১০ থেকে ১২ বছর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি বামেরা ।জবফর্ম তিনবার পূরণ করা হয়েছে ।।দুইবার জব ফর্ম পূরণের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার এক দশক পর সিপিএম উপহার দিয়েছে ১০,৩২৩ । এটা বামেদের দুরুভিসন্ধির ফলশ্রুতি । জালিয়াতি স্বজনপোষণের দৃষ্টান্ত। ন্যূনতম যোগ্যতার শর্তাবলী পূরণ করা হয়নি । যার ফলশ্রুতিতে বিপন্ন অবস্থায় পড়তে হয়েছে ওইসব পরিবারগুলিকে । ওইসব চাকরি থাকবে না তা জেনেও বামেরা জালিয়াতি করেছে। না হয়, সে সময় শাসনভার পরিচালনার মতো যোগ্য লোক ছিলেন না । তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এখন কমিউনিস্ট নেতাগণ কথা বলছেন। বাম আমলেই প্রাথমিক শিক্ষকের বিরাট সংকট তৈরি হয়েছিল । সে সময় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল অধরা । তিনি বলেন,বর্তমানে সম্ভাব্য সব দিক নজরে রেখেই সুষ্ঠু নিয়োগ প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে বর্তমান সরকার। চাকুরি পেয়ে ভবিষ্যতে যাতে কাউকে হতাশ হতে না হয় তার জন্যই সরকার সুচিন্তিতভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে । তিনি বলেন,বামেদের দায়িত্ব জ্ঞানহীন নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য টিসিএস, টিপিএস,ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসে চাকরিপ্রাপ্তদের চাকরি হাতছাড়া করতে হয়েছে।