শুক্রবার বিকেলে আচমকাই কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার পরিদর্শনে আসেন কারামন্ত্রী শান্তনা চাকমা সহ বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব,মহকুমা শাসক বিনয়ভূষণ দাস এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল।খবর নিয়ে জানা গেছে বিগত কিছুদিন ধরে বিশালগড় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ভেতরে সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের কাছে ব্রাউন সুগার,ইয়াবা ট্যাবলেট,ফেন্সিডল, কোরেক্স সহ বিভিন্নভাবে নেশাসামগ্রী অনায়াসে পৌঁছে যাচ্ছে টাকার বিনিময়ে আর এই সমস্ত নেশা সেবন করে সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা নেশায় আসক্ত হয়ে উঠেছে।ফলে কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিরা বিভিন্নভাবে তাদের নেশা সামগ্রী হাতে না পেয়ে সংশোধনাগারের মধ্যে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।এ মাসের ২০ তারিখ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি নেশা সামগ্রী না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।পরবর্তী সময় কর্তব্যরত পুলিশরা তাকে দ্রুত নিয়ে যায় আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে।কিন্তু খবর সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নড়ে চড়ে বসে রাজ্য কারা মন্ত্রী শান্তনা চাকমা,শুক্রবার বিকেলে তা ই সরজমিনে পরিদর্শন করতে দ্রুত ছুটে আসে
বিশালগড় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে।কারামন্ত্রী শান্তনা চাকমা কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বিভিন্ন দিক পরিদর্শন করে সংশোধনাগারের দায়িত্ব থাকা জেল আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসে।উক্ত বৈঠকে আধিকারিকদের কাছে জানতে চান ২৪ জন টিএসআর জওয়ান,ত্রিপুরা পুলিশের তিনজন জওয়ান থাকা সত্ত্বেও কি করে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের মধ্যে এরকম ভাবে নেশা জাতীয় সামগ্রী ঢুকছে।এ বিষয়ে দ্রুত আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট তলব করেন।