রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ঝুঁকির মুখে সোমবার চার বাংলাদেশী আটকের ঘটনায় তা আবারও প্রমাণিত।রাজ্যে রোহিঙ্গা পাচারকারীরা তাদের যে শক্ত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে তা ভাঙতে এনআইএর মত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রাজ্যে ব্যাপক ধরপাকড় করে ২৫ জনকে জালে তুলে বহিঃরাজ্যে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল রাজ্য পুলিশকে ঘুমে রেখে।তা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা পাচারকারীদের নেটওয়ার্কে যে মোটেও ভাটা পড়েনি তা আবারও প্রমাণিত হচ্ছে।প্রতিনিয়ত কমলাসাগর বিধানসভার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে মানব পাচার অব্যাহত।যার ফলস্বরূপ সোমবার গভীর রাতে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ৪ বাংলাদেশী ভারতে প্রবেশ করার সময় বিএসএফের হাতে আটক হয়।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল মধুপুর থানার পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী এই চারজন বাংলাদেশী নাগরিক,কিন্তু রোহিঙ্গা নয়।অথচ এই চারজনের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁদপুরের দিকে হলেও ভারতের এপারে নাকি তাদের কেউ সাহায্যকারী ছিল না।কিন্তু অন্য একটি সূত্রের খবর অনুযায়ী এই চারজনকে নিরাপদে কাঁটাতারের বেড়া পার করতে ভারতীয় ভূখণ্ডের কয়েকজন সাহায্যকারী ছিল সীমান্তে।কিন্তু বিএসএফের আনাগোনা লক্ষ্য করতে পেরে তারা গা ঢাকা দিতে সক্ষম হয়েছে।প্রশ্ন হচ্ছে ভারতীয় ভূখণ্ডের এই মানব পাচারকারী চক্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মধুপুর থানার পুলিশের এত অনীহা কেন তা ই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।যদিও মঙ্গলবার বাংলাদেশী আটকের খবর শুনতে পেয়ে মধুপুর থানায় ছুটে আসে সিপাহীজলা জেলার পুলিশ সুপার বি.জে রেড্ডি,মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পান্না লাল সেন সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।হরিহরদোলা বিওপির বিএসএফরা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর এই চার বাংলাদেশীকে মধুপুর থানার হাতে তুলে দিয়েছে।এখন পুলিশ ও বিএসএফের তদন্ত রিপোর্ট এক নাকি আলাদা হয় সেটাই দেখার বিষয়।মধুপুর থানার পুলিশ এই চার বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টে একটি মামলা আর নথিভুক্ত করে যার নম্বর MDP P.S Case No 45।